• চট্টগ্রাম বিভাগ

    রামগতিতে ছাত্রছাত্রীদের গণপিটুনি দেওয়ার অভিযোগ

      প্রতিনিধি ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৮:১১:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    এইচ.এম.আল-আমিন-স্টাফ রিপোর্টার:

    হাতের লেখা না দেওয়ায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ২৯ জন ছাত্র ছাত্রীকে গণপিটুনি দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক। ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরগাজীর ইউনিয়নের আবদুল ওয়াহেদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। কোমলমতি শিশুদের এভাবে শারীরিক শাস্তি দেওয়ায় অভিভাবকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভের আগুন। এ ভাবে ছোট শিশুদের মারধর করা মোটেও উচিত হয়নি বলে জানান কয়েকজন অভিভাবক।

    জানা যায়, গতকাল বুধবার ওই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ৮ পৃষ্ঠা করে হাতের লেখা আনার নির্দেশ দেন প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক, আজ বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা হাতের লেখা না দেওয়ায় প্রধান শিক্ষক উত্তেজিত হয়ে বেধড়ক মারপিট শুরু করেন।

    এসময় তৃতীয় শ্রেণিতে উপস্থিত থাকা প্রায় ২৯ জনের মত শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করা হয়। তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোঃ জিহাদ হোসেন,তামিম হোসেন, মুন্নী আক্তার ও বারিয়া বেগম সহ ৬ জন শিক্ষার্থী জানান, হাতের লেখা না দেওয়ায় প্রধান শিক্ষক এলোপাতাড়ি সকল ছাত্র ছাত্রীকে মারপিট শুরু করেন। এক পর্যায়ে সকল ছাত্র ছাত্রীর চিৎকারে স্কুল এলাকায় শোরগোল শুরু হলে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন। অন্য শিক্ষকবৃন্দ ও স্থানীয়রা এসে প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুককে থামানোর চেষ্টা করেন।

    অভিভাবক মোঃ মোছলেহ উদ্দিন বলেন, হাতের লেখা না দেওয়ার কারণে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে আহত করা কোন ভাবেই উচিত হয়নি প্রধান শিক্ষকের। স্থানীয় মুক্তিযুদ্ধা আবদুল মোতালেব বলেন, সামান্য বিষয় নিয়ে কোমলমতি শিশুদের এভাবে মারধর করা ঠিক হয়নি। প্রধান শিক্ষক একটু বেশী বুঝেন। তিনি নিজেকে মহাপন্ডিত ভাবেন। ২৯ জন শিক্ষার্থীকে বেদম প্রহার করা কোন ভাবেই কাম্য নয়।

    অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক বলেন, সামান্য মারধর করা হয়েছে। এতে বড় ধরনের কোন সমস্যা হবেনা, রাগের মাথায় এমন হয়ে থাকে। রামগতি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবু ইউছুফ জানান, বিষয়টি তিনি এখন শুনছেন, খবর নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ