সম্প্রতি মারা গেছেন ইংল্যান্ড এর রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। মৃত্যুর পরে আমাদের দেশের কতিপয় মানুষ প্রচার করে বেড়াচ্ছে যে এই রাণী আমাদের শোষণ করেছে, অতএব তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা যাবে না।অথচ রাণী এলিজাবেথ সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যই বেশীরভাগ মানুষের অজানা। চলুন জেনে নেই কিছু তথ্য।
১। রাণী এলিজাবেথ ১৯৫২ সালে সিংহাসনে বসেন। আর ভারতবর্ষ স্বাধীন হয় ১৯৪৭ সালে, তার বাবার আমলে। তাহলে উনার শাসনামলে আমরা ব্রিটিশ রাজপরিবার দিয়ে শোষিত হইনি। এবং উনার আমলে আমরা কলোনাইজড ছিলাম না।
২। দাস প্রথা- ব্রিটিশদের বিশাল স্লেইভ ট্রেড ছিল। ১৯২০ সালের দিকেই লীগ অফ নেশনসের আমল থেকে স্লেইভ ট্রেড বন্ধের ব্যাপারটা শুরু হয়। ২য় বিশ্ব যুদ্ধের পরে এত গুলি দেশে দাসপ্রথা বন্ধ করা সোজা ছিল না। ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত লেগে যায় এই দাসপ্রথা বন্ধ করতে। এখানে রাণী এলিজাবেথের ব্রিটেনের অনেক ভুমিকা ছিল এই দাসপ্রথা বন্ধ করার ব্যাপারে। এবং তার আমলেই এই এই দাসপ্রথা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয় বিশ্ব থেকে।
৩। ৫৩ টি দেশে ব্রিটিশরা শাসন করেছে, যারা এখন কমওয়েলথে আছে। বাংলাদেশও আছে এর মধ্যে। এবং এটা প্রধান ছিলেন রাণী এলিজাবেথ। এই কমনওয়েলথের মাধ্যমে শিশু বিয়ে বন্ধ, নারী অধিকার, এলজিবিটিকিউ অধিকার, এবরশন লিগালাইজ, গনতন্ত্রের পক্ষে কাজ করা, দুর্নীতি কমানো , বৈষম্য মূলক আইন বিলোপ, মানবাধিকার নিয়ে কাজ ইত্যাদি অনেক কিছু করেছেন , এখনো সেই লিগ্যাসি চলমান ।
রাজপরিবারের এলিজাবেথের পূর্বপুরুষরা মারাত্মক নিষ্ঠুর ছিল। এলিজাবেথ সেখানে রাজপরিবারের ইমেজ চেঞ্জ করে পাবলিক সার্ভিসের দিকে নিয়ে গেছেন। আমি মনে করি মানুষকে তার কাজ দিয়ে বিচার করা উচিৎ, তার বাপ দাদা দিয়ে না। ব্রিটিশদের ২০০ বছরের শাসনামলের রাজা রাণীদের আমি ঘৃণা করি তাদের ভয়ংকর সাম্রাজ্যবাদী নীতির জন্য। কিন্তু এলিজাবেথকে আমি ঘৃণা করতে পারছি না, কারন তার কাজ তার পূর্ব পুরষদের মত নয়। উনার শাসনামলে উনি যেই রিফর্ম গুলি এনেছেন, সেগুলি একনলেজ করা উচিত বলে মনে করি।
লেখায়-
মোঃ মুনতাসীর রহমান
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত গণমাধ্যম দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদ
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.