প্রতিনিধি ২৯ জুলাই ২০২২ , ১২:০২:২২ প্রিন্ট সংস্করণ
রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার মহিষবাথান এলাকা হতে ফুসলিয়ে পাচার এবং যৌন কার্যকলাপের জন্য নিয়ে যাওয়ার ৩ দিনের মধ্যে ৪ কিশোরী (স্কুল শিক্ষার্থী)-কে উদ্ধার করেছে আরএমপি রাজপাড়া থানা পুলিশ। এসময় গ্রেফতার হয়েছে পাচারকারী এক নারী।গ্রেফতারকৃত মোসা: চাঁদনী (৩০) রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার কোর্ট বুলনপুরের মো: সুরুজ আলীর স্ত্রী। সে নগরীর মহিষবাথান এলাকার বাসিন্দা।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুলাই ২০২২ সকালে ৪ কিশোরী (স্কুল শিক্ষার্থী) স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ী হতে বের হয়। কিন্তু বিকেলে তারা বাড়ী ফিরে না আসলে তাদের অভিভাবকরা খোঁজ খবর শুরু করে। খোঁজ-খবরের একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাদের জানায়, চাঁদনী নামের এক নারী-সহ ঐ চার কিশোরীকে নগরীর মহিষবাথান কলোনীর উত্তর পার্শ্বে গেট দিয়ে যেতে দেখেছে।
পরবর্তীতে চাঁদনীর স্বামীর কাছে গিয়ে জানতে পারে চাঁদনী কাউকে না জানিয়ে প্রায় সময় ঢাকায় যায় এবং ১০-১২ দিন পর আবার ফিরে আসে। চাঁদনীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। কিশোরীদের অভিভাবকদের ধারণা আসামি চাঁদনী-সহ তার সহযোগিরা তাদের পাচার এবং যৌন কার্যকলাপের জন্য নিয়ে গেছে। এক কিশোরীর পিতার এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজপাড়া থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।
মামলা রুজুর পরিপ্রেক্ষিতে রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মো: জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে এসআই মো: সজীবুল ইসলাম ও তার টিম আসামিদের অবস্থান সনাক্ত করে গ্রেফতার ও পাচার হওয়া কিশোরীদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন।
পরবর্তীতে রাজপাড়া থানা পুলিশের ঐ টিম আজ ২৯ জুলাই ২০২২ (২৮ জুলাই দিবা গত ) রাত সোয়া ১ টায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে।
ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানার পূর্ব রাজাসন এলাকা হতে সাভার মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় আসামি চাঁদনীকে গ্রেফতার করে এবং তার হেফাজত হতে ৪ কিশোরী (স্কুল শিক্ষার্থী)-কে উদ্ধার করে । জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি যৌন কার্যকলাপের জন্য কিশোরীদের (স্কুল শিক্ষার্থী) পাচারের কথা স্বীকার করে । আরএমপি জানাই আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।