প্রতিনিধি ২৭ মার্চ ২০২৪ , ১১:৪৩:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ শাহ আলম-ক্রাইম রিপোর্টারঃ
দীর্ঘদিন ধরেই রাজশাহী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে নানা অনিমের অভিযোগ উঠে আসছিল। অফিসে কম্পিউটারের দায়িত্বে থাকা মাসুদ ও কলেজ পরিদর্শক সহ তিনজনের বিরুদ্ধে নানা অনিমের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর নিকট দেওয়া সেই অভিযোগে। বিদ্যালয় পরিদর্শনের নামে সালামি, রাজশাহী জেলা শিক্ষা অফিস থেকে ঢাকায় স্কুল-কলেজের কাগজপত্র পাঠাতে অর্থের চুক্তি এমন ডজন অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে সেই অভিযোগে।
অভিযোগকারী সাংবাদিকদের জানান, জেলা শিক্ষা অফিসার নাসিরুদ্দিনের কথা মত তার অফিসের অফিস সহকারী মাসুদ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে লেনদেন করে থাকেন। অপরদিকে বিদ্যালয় পরিদর্শনের নামে পরিদর্শক সেলিম বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সালামি গ্রহণ করে থাকেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে অফিসের এমন অনিয়ম দায়ে পূর্বে মাসুদ একাধিকবার বরখাস্ত হয়েছেন আবার অদৃশ্য ক্ষমতার বলে বহাল হয়েছেন।তবে তাদের এমন অনিয়ম আর দুর্নীতির ঘটনা নিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসারকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শিক্ষামন্ত্রীর নিকট দেওয়া অভিযোগের সাথে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের অনিয়মের ঘটনা নিয়ে অভিযোগ আসে গণমাধ্যম কর্মীদের নিকট। তাদের নামে উঠা অভিযোগের বিষয়ে জানতে রাজশাহী জেলা শিক্ষা অফিসে গেলে কম্পিউটারের দায়িত্বে থাকা মাসুদ সাংবাদিক দেখে দৌড় দিয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনের রুমে প্রবেশ করে। তাদের এমন অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও বিদ্যালয় পরিদর্শক সাংবাদিকদের বলেন আপনারা এই ধরনের প্রশ্ন আমাদের করতে পারেন না।
আমাদের কোন অভিযোগ থাকলে উপরমহল ব্যবস্থা নিবে।রাজশাহী জেলা শিক্ষা অফিসের নানা অনিয়ম বন্ধে শিঘ্রই নানা কর্মসুচির ঘোষনা দিয়েছেন শিক্ষক মহল সহ সংশ্লিষ্টরা। রাজশাহীর একটি সাংবাদিক সংগঠন জানান কয়েকটি কলেজ ও স্কুলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা সংবাদ প্রকাশ করেছি। তাদের শিক্ষার নামে অপকর্ম সর্বস্তরের মানুষ কে ভাবিয়ে তুলেছে। শিঘ্রই তাদের অপকর্ম বন্ধে প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করা সহ বিভিন্ন কর্মসুচি দেওয়া হবে ।