প্রতিনিধি ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ১০:০৮:২১ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ মমিনুল ইসলাম মুন-বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি:
আজ শনিবার সকাল ১০টায় বরেন্দ্র অঞ্চলের স্বেচ্ছাসেবী যুবসংগঠনসমূহের বৃহৎ ঐক্য বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরাম এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবজাগরণ ফাউন্ডেশনের সহ-আয়োজনে গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ইমপ্রুভ নিউট্রিশন (গেইন) পৃষ্ঠপোষকতায় যুব ছায়া সংসদের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীনস্ কমপ্লেক্স অডিটরিয়ামে এ ছায়া সংসদ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ যুব ছায়া সংসদের সদস্য ও বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান আতিক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২০১৪ সাল থেকে পরিচালিত হওয়া এ যুব ছায়া সংসদের এবারের প্রতিপাদ্য ছিল— ‘বরেন্দ্র অঞ্চলে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনায় যুব অংশগ্রহণ।’ছায়া সংসদে বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫.ক অনুচ্ছেদে মানুষের দৈনন্দিন জীবনধারণের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা করা সরকারের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বাংলাদেশ যুব ছায়া সংসদের স্পিকার আমান্না জাহান বিভার পরিচালনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
এ ছাড়াও রাজশাহীর উপ-আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ মোহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের অধ্যাপক রুকসানা বেগম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. মো: জাহাঙ্গীর আলম সাউদ উপস্থিত ছিলেন। ছায়া সংসদে স্পিকার হিসেবে বগুড়া-১ আসনের সাংসদ মো. সিহাব উদ্দিন সুমনের পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা পালন করেন বগুড়া-৩ আসনের সাংসদ মোসা. মেহেরিন আক্তার রিয়া। খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া-৪ আসনের সাংসদ রুহুল আমিন জনি। এ ছাড়াও সরকারদলীয় এবং বিরোধীদলীয় সাংসদরা উপস্থিত ছিলেন।
সংসদে রাজশাহী বিভাগের ৩৯টি আসন থেকে ২৩ জন শিক্ষার্থী প্রতিনিধিত্ব করেন এবং তারা সংসদীয় রীতিতে আলোচনায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। প্রস্তাবগুলো হলো— অবৈধ খাদ্য মজুতকরণে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে, ক্ষতিকর কীটনাশক প্রয়োগ বন্ধে যুবসমাজকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় কৃষকদের সচেতন করতে হবে, পতিত জমি আবাদে পরিণত, কৃষিজমি সংরক্ষণে বহুতল ভবন নির্মাণ কলকারখানা সংরক্ষিত এলাকায় স্থাপন করতে হবে, খাদ্য নিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করছে তাদের মাঝে সমন্বয় সৃষ্টি এবং সামাজিক জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী মূল্যের মৎস্য উৎপাদনে যুবকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও উদ্বুদ্ধ করতে হবে, কৃষকদের নায্যমূল্য নিশ্চিতকরণে সরকারি উদ্যোগে কৃষকদের নিয়ে কৃষকবাজার স্থাপন করতে হবে, খাবারের গুণগতমান ঠিক রেখে সকলকে রন্ধন প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে, পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে খাদ্য ভেজালরোধ করতে হবে। এতে বিরোধীদলীয় নেতা রাজশাহী-২ আসনের সাংসদ সবুজ মিয়া পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার সহজ প্রাপ্যকরণে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।