প্রতিনিধি ২৫ জানুয়ারি ২০২১ , ৫:৩৬:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ
রাজবাড়ী : ছোট ভাইয়ের ভরণ পোষন না করে ট্রেনে তুলে দিল ভাই ভাবী
বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর দায়িত্ব নিয়ে লালন পালন না করে ১০ বছর বয়সী ছোট ভাই “আমরা তোকে আর রাখবো না, তোর মন যেখানে যেতে চায় চলে যাবি” এই বলে ট্রেনে তুলে দিলো আপন ভাই ও ভাবী।
ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম (১০), বাড়ী নওগা জেলার রায়নগর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের মৃত বাদেশ মন্ডলের ছেলে।
গত শনিবার (২৩ জানুয়ারী) রাতে ভুক্তভোগী শিশু সফিকুলকে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর রেলওয়ে স্টেশনে পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে রবিবার দুপুরে স্থানীয় সোনার বাংলা সমাজ কল্যাণ ও ক্রিড়া সংসদের আহবায়ক এসএম হেলাল খন্দকার শিশুটিকে বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহীর নিটক নিয়ে যান।
শিশু সফিকুল জানান, তার বয়স ১০ বছর। সে দ্বিতীয় শ্রেনীতে পড়তো। তার বাবা-মা প্রায় এক বছর আগে মারা যায়। তাদের মৃত্যুর পর থেকে একমাত্র আপন ভাই রফিকুলের কাছে থাকতো। তার ভাই রাজমিস্ত্রীর কাজ করে এবং নওগা রায়নগরের একটি ভাড়া বাসায় থাকে। হঠাৎ গত শনিবার তার ভাই-ভাবী তাকে আর রাখতে পারবে না বলে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনে তুলে দেয়। পড়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজবাড়ীর বহরপুর রেলস্টেশনে নেমে কিছু না চিনে এলোমেলো ভাবে ঘুরতে থাকে । সে সময় স্থানীয় এসএম হেলাল খন্দকার তাকে বাসায় নিয়ে যায় এবং বিস্তারিত ঘটনা জানেন। এখন সে কি করবে কোথায় থাকবে কিছুই জানে না।
স্থানীয় সোনার বাংলা সমাজ কল্যাণ ও ক্রিড়া সংসদের আহবায়ক এসএম হেলাল খন্দকার জানান, স্টেশনের পাশেই তার বাড়ী। তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড করেন। গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে টুঙ্গিপাড়া এক্মপ্রেস ট্রেন চলে যাবার পর স্টেশনে এলোমেলো ভাবে ঘুরতে দেখে রফিকুলকে বাড়ীতে নিয়ে যান এবং বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে রাতেই বিষয়টি থানা পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার অবহিত করে এবং ইউএনও’র কথা মত শিশুটিকে দুপুরে ইউএনও’ কার্যালয়ে নিয়ে এসেছেন।
বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আম্বিয়া সুলতানা জানান, গতরাতে বহরপুর স্টেশনে এক সমাজকর্মী একটি শিশুকে পেয়েছেন। শিশুটির দেয়া তথ্যানুসারে নওগার সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলেছেন এবং শিশুটিকে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।