প্রতিনিধি ২৪ অক্টোবর ২০২০ , ৩:২২:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ
শরিফা বেগম শিউলী; রংপুর প্রতিনিধিঃ
রংপুরে বিবাহিত নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করায় থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মহিলা রনজিনা বেগম (৩৫) ।
শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) আনুমানিক রাত ১০.৩০ মিনিটের দিকে,৩১নং ওয়ার্ডের নাজির দিঘর সাথঘরি পাড়ায় বিবাহিত ঐ নারীর বাসায় ধর্ষণের চেষ্টা চালায় বিবাদী মুকুল মিয়া।
এলাকাবাসী আব্দুল হালিম (৫০)
হাসিনা বেগম (৩৪)ও নাদিরা বেগম (৩২)জানায় রাতে হঠাৎ করে মুকুলের বউ রনজিনার চিৎকার শুনে আমরা তার বাড়িতে যাই। তখন শুনি পাশের বাসার মুকুল তার ঘরে ঢুকে রনজিনাকে জড়িয়ে ধরে টানাটানি করে তার মেছকি, ওড়না ও সেলোয়ার ছিড়ে ফেলে ধর্ষণের চেষ্টা করে। মুকুলের বউ নিজের ইজ্জত রক্ষা করার জন্য ধস্তাধস্তি করলে মুকুল তাকে চড় থাপ্পড় ঘুসি মেরে সেখান থেকে বেড়া ভেঙ্গে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী রনজিনা বেগম বলেন, আমি প্রতিদিনের মত বিছানায় শুয়ে থাকি। আমার স্বামী অটো চালায় রাত করে বাসায় ফিরে।গতকাল বৃষ্টির কারণে আমার সামী ১০ টার দিকে বাসায় আসে।ভাত খেয়ে পান খাওয়ার জন্য বাড়ির পাশের দোকানে যায়।তাই বাসার গেট খোলা থাকে।এই সুযোগে পাশের বাড়ির মুকুল পূর্বশত্রুতার জের ধরে আনুমানিক রাত সাড়ে দশটার দিকে আমার রুমে ঢুকে আমাকে জড়িয়ে ধরে।আমার কাপড় – চোপড় সব টেনে ছিঁড়ে ফেলে।আমাকে ধস্তাধস্তি করে ধর্ষণের চেষ্টা করে।আমি বাধা দিলে আমাকে চড় থাপ্পড় কিল ঘুসি মারতে থাকে।
আমার ইজ্জত বাঁচানোর জন্য চিৎকার করলে পাশের রুম থেকে আমার মেয়ে বের হয়ে আসে, দেখতে পায় বিবাদি মুকুল আমার সাথে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করছে।মেয়ে মুকুলকে ধরার চেষ্টা করলে আমার মেয়েকেও চড় থাপ্পড় ও কিল ঘুশি মারে। দুজন মিলে চিৎকার করার পরে সে ওখান থেকে আমাকে ও আমার মেয়েকে লাথি মেরে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ৩১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ঘটনা বিষয়ে আমি হালকা শুনেছি আর থানায়ও অভিযোগ হয়েছে। তবে ঘটনার সত্যতা পাইলে সে যেই হোক অবশ্যই তাকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে।