প্রতিনিধি ১ মে ২০২১ , ৩:৩৪:১০ প্রিন্ট সংস্করণ
সাকিব উদ্দিন-রংপুর প্রতিনিধি:
উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকাতে এখনো পুরুষদের কাজে নারীদের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়,দেশের অনেক অঞ্চলে যেমন শিল্প-কারখানা কিংবা বিভিন্ন কোম্পানিগুলোতে নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হচ্ছে কিন্তু সে দিক থেকে উত্তরাঞ্চলের নারীরা অবহেলিত। এই অঞ্চলে নেই কোন শিল্প কারখানা কিংবা ভালো মানের কোন কর্মসংস্থান, তাই জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে জীবন ঝুঁকি নিয়েই পুরুষদের কাজে নিয়োজিত হচ্ছেন নারীরা।
বর্তমানে অঞ্চলটিতে পুরুষদের পাশাপাশি প্রায় ২৫শতাংশ নারী পেশাগতভাবে কৃষি কাজে নিয়োজিত থাকার পরেও পারিশ্রমিকের বেলায় অভাবের সংসারে জীবিকা নির্বাহের জন্য দর কষাকষি পদ্ধতিতে বিক্রি করছেন নিজেদের শ্রম।
শনিবার মে দিবসে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সীমান্তবর্তী ওয়ার্ড ৩১নং এর শেখপাড়া এলাকায় এখন বোরো ধান ঘরে তুলতে ব্যাস্ত গৃহস্থরা। অপরদিকে নিম্নআয়ের পরিবারগুলোতে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে দুর্ভোগ,পরিবারে পুরুষের স্বল্প রোজগার দিয়ে জীবিকা নির্বাহে হুমকির মুখে এই মানুষগুলো।তাই বাধ্য হয়ে পুরুষদের ধান কাটার কাজ করছেন অনেক নারী ।
এসময় সদ্য এইচএসসি পাস করা মৌসুম নামে এক যুবতী নারীর জানায়,কয়দিন পরেই আমার অনার্স ভর্তি পরীক্ষা কিন্তু পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে গেলে আমাকে অবশ্যই পর্যাপ্ত প্রাইভেট পড়া প্রয়োজন,তবে আমার পরিবারের আর্থিক অবস্থা অনুযায়ী দুবেলা খাওয়া আর বিভিন্ন চাহিদা মেটাতে গিয়ে বাবার রোজগারের সামান্য অর্থ তাতেই কমতি হয়। আর আমাদের ভাইবোনদের লেখাপড়ার খরচ বহন করা বাবারে একার পক্ষে সম্ভব নয়, তাই বর্তমান অবস্থায় পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়াটা আমার পক্ষে অনেকটা হুমকির মুখে বললেই চলে।
এজন্যই আমি অন্যান্য নারী এবং আমার মায়ের সঙ্গে জমিতে এসেছি ধান কাটতে যদিওবা এই সামান্য আয় আমার লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে কিনা তা জানি না তবে চেষ্টা করছি আর কি মাত্র।তাই আমরা এই হত দরিদ্র পরিবারগুলো আমাদের শ্রমের ন্যায্য মূল্য কিংবা সরকারের সহয়তা পেলে আমরাও ভালো কিছু করার সপ্ন দেখতে পারবো।।