প্রতিনিধি ৬ এপ্রিল ২০২২ , ৮:৩৪:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ
রংপুর প্রতিনিধি:
বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবি, সড়কে হয়রানিসহ ৫ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনেও রংপুর থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন পরিবহন শ্রমিকরা।বুধবার (৬ এপ্রিল) দূরপাল্লার পরিবহন শ্রমিকদের এই কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিনেও বেলা ১২টা পর্যন্ত রংপুর নগরীর কামারপাড়া ঢাকা কোচ স্ট্যান্ড থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। হঠাৎ শুরু হওয়া এই কর্মবিরতিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী সাধারণ। তবে কর্মবিরতির আওতামুক্ত এনা পরিবহন, শাহ্ ফতেহ আলী, সৌখিন পরিবহনের দুই একটি বাস মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) চলাচল করলেও আজকে তারা গাড়ি চালাচ্ছেন না।
শ্রমিকদের দাবি, ২ থেকে ৩টি পরিবহনের চালকদের বেতন ১ হাজার ৯৫০ টাকা, সুপারভাইজারের বেতন ৯০০ টাকা আর হেল্পারের বেতন ৮০০ টাকা করে দেওয়া হয়। সেখানে অন্য সব পরিবহনের স্টাফদের প্রায় এর অর্ধেক বেতন-ভাতা প্রদান করা হয়। এই বৈষম্য দূর করে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির জন্য তারা মালিক পক্ষের কাছে দীর্ঘ দিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের কোনো দাবি মেনে নেওয়া হয়নি। এ ছাড়া সড়কে পুলিশি হয়রানি ও চাঁদাবাজি বন্ধ, বিভিন্ন সময়ে মামলায় আটক শ্রমিকদের মুক্তিসহ পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে পরিবহন মালিকসহ প্রশাসনের সহযোগিতা দাবি করেন তারা।
পরিবহন শ্রমিকরা জানান, মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। ওই দিন দুপুরে ঢাকায় বেতন ভাতার বিষয়ে বৈঠকে বসলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা শেষ হয়। যার কারণে দ্বিতীয় দিনেও চলছে এ কর্মবিরতি।
রংপুর মোটর মালিক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আফতাব উজ জামান লিপন জানান, বিষয়টি নিয়ে ঢাকার মালিকদের সঙ্গে দ্রুত সমাধানে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। আজ বুধবার দুই পক্ষের বৈঠকে তাদের একটা সিদ্ধান্ত হতে পারে। সিদ্ধান্ত হলে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
রংপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ জানান, পরিবহন মালিকরাই পরিবহন বন্ধ করেছে। এটি মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মবিরতি না। আমরা চাই না রমজান মাসে পরিবহনের জন্য মানুষের দুর্ভোগ হোক।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের রংপুর বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ বলেন, বাস চলাচল বন্ধ রাখার সঠিক কারণ আমার জানা নেই। কাদের নির্দেশে এই ধর্মঘটের ডাক দিয়ে মালিক পরিবহনের লোকেরা পরিবহন বন্ধ রেখে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়িয়েছে, তাদের খুঁজে বের করা উচিত। শ্রমিকদের দাবি-দাওয়ার সঙ্গে আমরা একমত। কিন্তু এই ধর্মঘট ইউনিয়নের ডাকা ধর্মঘট নয়।