প্রতিনিধি ২ ডিসেম্বর ২০২১ , ১২:১৮:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ
লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
১. খুব ভোরে ফজরের সময় ঘুম হতে জাগ্রত হোন। দিনের অগ্রভাগের প্রফুল্লতা ও উদ্যমতাকে কাজে লাগান।প্রত্যুষের অবারিত বরকতকে নিজের করে নিন। কতোই-না চমৎকার সেই দৃশ্য! একজন সকাল করলো, এদিকে চারদিকের পরিবেশটা কতো নীরব ও প্রশান্তভাবে অবস্থান করে।
২. জামাতের সঙ্গে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন। অন্যান্য নফল নামাজের প্রতি নিজেকে আগ্রহী করে তুলুন। দোয়া, জিকির ও কুরআন তিলাওয়াতে নিজেকে অভ্যস্ত করুন।
৩. আপনার ওপর আল্লাহর অবারিত নিয়ামত ও অনুগ্রহকে স্মরণ করুন। তারপর বুক ভরে দয়াময় আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করুন। সর্বদা ইতিবাচক ধ্যানধারণা ও সুপ্ত মনোভাব নিজের ভেতর লালন করুন।
৪. সদা প্রফুল্ল ও হাস্যোজ্জ্বল থাকুন। অন্যের হৃদয়ে আনন্দ বিলিয়ে দিন। মুচকি হাসিটা যেনো মুখে লেগেই থাকে আপনার। কারণ, এটি চেহারার শোভা। তাছাড়া একটি নির্মল হাসি ব্যক্তির ব্যক্তিত্বকেও আকৃষ্ট করে।
৫. নিজের ভেতর জমে থাকা যতো চিন্তা-দুশ্চিন্তা আছে, সবকিছুকে ঝেড়ে ফেলুন। সকল নেতিবাচকতা হতে যোজন যোজন দূরে থাকুন। কখনো কোনো মন্দ বা খারাপ সংবাদ প্রচার করতে যাবেন না। যে কোনো দুর্ঘটনা,নিহতের সংবাদ কিংবা এ জাতীয় গোলযোগপূর্ণ খবরাখবরের প্রতি দৃষ্টি দেবেন না। কারণ, এটি আপনাকে ধীরে ধীরে অসুস্থ এমনকি আতঙ্কিত করে তোলবে।
৬. যে কোনো কথা বলতে কিংবা কারো কোনো কথার উত্তর দিতে ধীরস্থিরতা অবলম্বন করুন। কখনো কোনো কাজে তাড়া-হুড়া করতে নেই। কারণ, দ্রুততা ব্যক্তিকে লজ্জিত করে। যে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে কিংবা সমস্যা মোকাবিলায় গভীর ভাবনা, ধীরতা, ধৈর্য ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয়া চাই।
৭. অপরের প্রতি তার ব্যবহারে সদা কৃতজ্ঞ হোন। এমনকি এটিকে নিজের নিত্য-অভ্যাস করে নিন। প্রত্যেক সুন্দর কাজের মূল্যায়ন করতে শিখুন। অন্যের প্রতিটি ভালো কাজের প্রশংসা করুন।
৮. নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি পূর্ণ মনোযোগী হওয়া চাই। কারণ সুস্বাস্থ্যের সাথে ব্যক্তির সত্তার একটা গভীর সম্পর্ক রয়েছে। সেজন্য ভালো, পুষ্টিকর এবং পরিমিত খাবারের বিকল্প নেই।
৯. প্রতিদিন এরূপ করে যেনো আপনার অতিবাহিত হয়, যেনো আপনি নতুন কোনো কিছু জেনেছেন বা শিখেছেন। তাই নিত্য আপনার জ্ঞানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করুন।
১০. বড়-ছোট যে কোনো বিষয়কেই গুরুত্বের চোখে দেখা চাই। কারো কথা শুনছি তো, মনোযাগের সাথে শোনা চাই। আপনার এই চুপ থাকা কিন্তু আপনাকে জ্ঞান ও প্রজ্ঞার এক ভিন্ন পরিচয়ে আসীন করে।
১১. যা আমার সাথে যায় না কিংবা আমার দায়িত্বের অংশ নয়, তাতে সময় ক্ষয় না করা। কারণ তাতে নিজেকে বেকার-বেকার লাগে। অন্যের ব্যক্তিগত কোনো বিষয়ে দখল নিতে যাওয়া অনুচিত। এসব অনর্থক বিষয় ব্যক্তির ব্যক্তিত্বকে হালকা করে দেয়।
১২. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য আলাদা একটি সময় নির্ধারণ করা চাই। কারণ আমাদের সময় অনেক মূল্যবান।
১৩. কোমলতা ও উদারতা দিয়ে একটি জিনিসকে ভাবুন। সংকীর্ণতার গলিঘুপচি হতে নিজেকে বের করে আনুন। চিন্তার সৌন্দর্যতাকে কীভাবে আরো বৃদ্ধি করা যায়, সেই চেষ্টাই করুন। যেকোনো বিষয়কে একটু ভিন্নরূপে অন্যদের চেয়ে একটু আলাদা করে ভাবুন।
১৪. শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী ঘুমান ও বিশ্রাম নিন। এতো অধিক পরিমাণ না ঘুমানো-যে, ভদঅভ্যাস তৈরি হয়। আবার এতো কমও না-যে, অসুস্থ হয়ে যেতে হয়।
১৫. সময় ও সুযোগ মিললেই সাধ্যমতো সামাজিক ও মানবকল্যাণে ব্যয় করুন।