যশোরে এক স্কুলছাত্রীকে পাটক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ওই এলাকার মাহিম নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। রোববার (১২জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে যশোর সদর উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই কিশোরী অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনার পর স্থানীয়ভাবে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য একটি মহল ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর পরিবারের।
ভিকটিমের বাবার অভিযোগ, “রোববার সন্ধ্যায় তার মেয়ে বাড়ির পাশে হাস তাড়িয়ে আনতে যায়।

এমন সময় একই এলাকার পান্না মোল্লার ছেলে মাহিম (২৮) আগে থেকে বসতবাড়ীর পাশে পাটক্ষেতে ওত পেতে থাকে। এ সময় ওই স্কুলছাত্রী হাস নিয়ে বাড়িতে ফেরার সময় মাহিম তাকে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে পাটক্ষেতের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করে পালিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন ওই স্কুলছাত্রীকে বাড়িতে ফিরতে দেরী দেখে খোঁজাখুজি করে। এক পর্যায়ে আধঘন্টা পর ওই স্কুলছাত্রীকে পাটক্ষেতে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেশীদের মধ্যে জানাজানি হলে ধর্ষক মাহিমের পরিবার থেকে ধর্ষনের ঘটনাটি গোপন রাখার জন্য টাকা পয়সা।

জমি এবং মেয়েকে বিবাহ দিয়ে নেওয়ার প্রলোভন দেখায়। এক পর্যায়ে রাত দেড়টার দিকে গ্রাম থেকে ধর্ষনের শিকার ওই মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন । তিনি আরও বলেন, হাসপাতাল থেকে সোমবার (১৩জুন) সকালে ধর্ষনের রিপোর্ট দিয়েছে। তাতে আমার মেয়েকে ধর্ষনের আলামত পাওয়া গিয়েছে। এটি থানায় জমা করা হয়েছে। থানায় এ বিষয়ে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, ধর্ষনের ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবাকে থানায় ডাকা হয়েছে। তিনি অভিযোগ দিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো। আমি এই মুহুর্তে ঘটনাস্থলে আছি।এদিকে, অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সাবেক এক জনপ্রতিনিধি বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য উঠে পরে লেগেছেন। তিনি ভিকটিম পরিবারকে নানা ধরণের হুমকি ধামকি দিচ্ছেন।