প্রতিনিধি ১২ এপ্রিল ২০২১ , ৫:৩২:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ
এম,এ কাইয়ুম-মাইজভান্ডারিঃ
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে এভাবেই কেটে নিয়ে যাওয়া হয় কৃষি জমির মাটি lপরিবেশ আইন অমান্য করে কৃষিজমি উপরিভাগের মাটি কেটে সরবরাহ করা হচ্ছে ইটভাটায়। এতে জমির উর্বরতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্যও হুমকির মুখে পড়েছে।পরিবেশ আইন অনুযায়ী কৃষিজমি মাটি কাটা দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ব্যাপারে সিরাজদিখান উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, জমি ও ইটভাটার মালিকেরা পরিবেশ আইন ও ভূমি নীতিমালা অমান্য করছেন। মাটি কাটার কারণে পরিবেশ হুমকির মুখে পড়বে।
তাই জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ইতোমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অর্থ জরিমানা ও বেঁকো জব্দ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১২–এর ৬ ধারায়) অনুযায়ী, প্রাকৃতিকভাবে কৃষিজমির মাটি কাটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অন্যদিকে ১৯৮৯ সালের ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইন (সংশোধিত ২০০১) অনুযায়ী, কৃষিজমির টপ সয়েল বা উপরিভাগের মাটি কেটে শ্রেণি পরিবর্তন করাও সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে। দুই আইনে শাস্তির বিধান একই রকম।
এসব কাজে জড়িত ব্যক্তিদের টাকার জরিমানা ও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। একই কাজ দ্বিতীয়বার করলে দায়ী ব্যক্তির ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও ১০ বছরের কারাদণ্ড হবে। এ ক্ষেত্রে এ কাজের সঙ্গে জড়িত জমি ও ইটভাটার মালিক উভয়ের জন্যই সমান শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। উপজেলার লতব্দী ইউনিয়ন, বাসাইল ইউনিয়ন, শেখের নগর ইউনিয়ন এলাকায় কৃষিজমির মাটি সরবরাহ হচ্ছে ইটভাটায়। এসব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে,
বেঁকো দিয়ে মাটি কেটে মাহিন্দ্র ভর্তি করে ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শ্রমিক বলেন, ‘আমরা জমির মালিক ও মাটি ব্যবসায়ীদের নির্দেশে মাটি কাটছি।এ ব্যপারে বক্তব্য নেওয়ার জন্য জমির মালিকও ইট ভাটারকে পাওয়া যায়নি অভিযোগ প্রসঙ্গে মাটি ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায়না। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে হামলার শিকার ও হতে হয়েছে অনেকে।