প্রতিনিধি ৩ ডিসেম্বর ২০২১ , ১০:৫৩:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে মানষিক ভারসাম্যহীন অসহায় মা ও মেয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে।উপজেলার প্রানকেন্দ্র সুবিদখালী বাজার ব্রীজের উত্তর পার বরগুনা-বাকেরগঞ্জ মহাসড়কের পাশে মানষিক ভারসাম্যহীন স্বামী হারা অসহায় শেফালী রানী (৬০) ও বাবা হারা মেয়ে পুতুল রানী (২৮) দীর্ঘদিন যাবত ঝড়বৃষ্টি সহ আবহমান কনকনে ঠান্ডা শীত উপেক্ষা করে।
খোলা আকাশের নিচে বসবাস করে আসছেন। মা-মেয়ে দুজনেই মানষিক ভারসাম্যহীন। শেফালী রানীর স্বামী লোহার দাঁ কাঁচি গড়ার কাজ করতেন। যা থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে সংসার চালাতেন তিনি। কিন্তু বেঁচে থাকার শেষ অবলম্বন হারিয়েছে প্রায় বছর দেড়েক আগে। একমাত্র উপার্জনক্ষম স্বামী মারা যাওয়াতে মানষিক ভারসাম্যহীন শেফালী রানী ও তার মেয়ে পুতুলরানী খুবই অসহায় হয়ে পরে।
এরপর মানুষের কাছে ভিক্ষা করে কোনো রকমে শেফালী রানী ও তার মেয়ে পুতুল রানী খেয়েদেয়ে বেঁচে আছে। কিন্তু তাদের মাথা গোঁজার মতো কোথাও কোন ঠাঁই মেলেনি আজও। মা ও যুবতী মেয়ের এমন মানবেতর জীবনযাপন দেখে আশপাশের কেউ এগিয়ে না আসলেও, মুখে মুখে দুঃখ প্রকাশ ও ভালোবাসা দেখানোর মত মানুষের অভাব নেই। আশেপাশে বসবাসকারী এবং ওই পথ ধরে যাতায়াত করা বিভিন্ন লোকজন দুঃখ প্রকাশ করেন সব সময়।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, শেফালী রানী ও তার মেয়ে দীর্ঘদিন ধরে এখানে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতেছে। মাঝখানে কিছুদিন একটি অব্যবহৃত দোকান ঘরের সামনে ছাউনির নিচে ছিলো। দোকানের মালিক দোকান ঘরটি ভাড়া দেওয়াতে ওখান থেকে এসে ওই খোলা জায়গায় থাকেন।
যদিও অসহায় শেফালী রানীর স্বামী মারা যাওয়ার পর সদর ইউনিয়ন দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আঃ আজিজ হাওলাদারের কাছে এক সাংবাদিক এর অনুরোধে তাদের থাকার জন্য ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য নির্মিত বাংলাদেশ সরকারের আবাসস্থল আবাসনে একটা ব্যবস্থা করে দেয়ার কথা দিলেও তাদের আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা হয়নি।
তাই স্থানীয় লোকজনের দাবি সরকার যদি তাঁদেরকে মাথা গোঁজার মত একটি ঘর দিতো তাহলে মা- মেয়ের কষ্ট করে খোলা আকাশের নিচে থাকতে হতো না। যেভাবেই হোক খাবার সংগ্রহ করে অনাহারে- অর্ধাহারে বেঁচে থাকার পাশাপাশি দিন শেষে মাথা গোঁজার ঠাঁই ঘরটিতে অন্তত শান্তিতে ঘুমাতে পারতো।
এব্যাপারে মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌস দৈনিক বাংলাদেশ কন্ঠের প্রতিনিধিকে জানান, সমাজসেবা কর্মকর্তার সাথে কথা বলে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে পূনর্বাসন ও (থাকা-খাওয়ার) ব্যবস্থা করা হবে,পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতা আমার যতটুকু করা সম্ভব তাই হবে বলে জানান তিনি।