• Uncategorized

    মির্জাগঞ্জে এসআই এর বিরুদ্ধে ঘুষ দাবি ও শ্লীলতাহানি, ঘটনায় ডিআইজি কাছে অভিযোগ

      প্রতিনিধি ২৩ আগস্ট ২০২৩ , ১০:৩৭:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

    স্টাফ রিপোর্টার:

    পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থানার এস,আই মোঃ আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে গত ২১শে আগস্ট বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি বরাবর ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ঘুষ দাবি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন এক ভুক্তভোগী নারী। অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার ঝাটিবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা শারমিন আক্তার (৪০) এক নারী প্রশাসনের এস,আই এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। অভিযোগ সুত্রে, তার স্বামী একই উপজেলার মানসুরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা শামশুল হক জোমাদ্দারের বিরুদ্ধে গত ৪ঠা এপ্রিল পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ আদালত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে এসআই আবুল আাসামীর গ্রেফতারের জন্য তাদের নিকট ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। এছাড়াও শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটায় বলে জানান তিনি।

    এদিকে মির্জাগঞ্জ থানা সূত্রে জানাযায়, থানার কোন রেজিস্ট্রারে শামসুলহক জোমাদ্দার নামের কোন ব্যক্তির নামে ওরেন্ট অন্তর্ভুক্ত হয়নি । তার স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলার আলোকে গত ৯”এপ্রিল আসামির প্রতি সমন জারি করেন বিজ্ঞ আদালত।পরবর্তীতে গত ১৪’মে শামসুল হক বিজ্ঞ আদালতে হাজির হলে তাকে জামিন প্রদান করেন বিঞ্জ আদালত। এবিষয়ে মির্জাগঞ্জ থানার এসআই আবুল হোসেন এর মুঠোফোনে সার্বিক বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক বরিশাল সমাচারকে বলেন, গত ২রা জুলাই শামসুল হক ও শারমিনের মধ্যে তালাক হয়। এরপর ১৯ জুলাই শামসুল হক বাদী হয়ে মির্জাগঞ্জ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আাদলতে শারমিনরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চুরির মামলা দায়ের করেন।

    মামলাটি বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট আমলে নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ প্রদান করলে অফিসার ইনচার্জ তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। তিনি আরও বলেন, যৌতুক মামলার সাথে আমাকে দায়িত্ব দেয়া মামলার কোন সম্পর্ক নেই। এছাড়াও শামসুল হকের বিরুদ্ধে যেহেতু কোন ওরেন্টই নেই সেখানে কীভাবে আসামি গ্রেফতারের জন্যে টাকা দাবি করবো এটা ভিত্তি হীন বলে জানান তিনি। উল্লেখিত বিষয় নিয়ে অভিযোগকারী শারমিনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার ব্যবহৃত সেল ফোনটি রিসিভ হয়নি যে কারনে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

    এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ( ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, শামসুল হক জোমাদ্দারের নামে মির্জাগঞ্জ থানার রেজিস্ট্রারে কোন গ্রেফতারি পরোয়ানো এন্টি হয় নাই। শুধু মাত্র আদালত থেকে সমন জারি হয়েছে মাত্র । এটা আদালতের বিষয়। এখানে থানা পুলিশর কোন সম্পৃক্ততা নেই। এছাড়াও যেখানে ওয়ারেন্ট হয়নি সেখানে পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করার জন্য কিভাবে ঘুষ দাবি করবে এটা আমার বোধগম্য নহে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ