• Uncategorized

    মানতা সম্প্রদায়ের বিয়ে পদ্ধতি |

      প্রতিনিধি ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ৭:৫২:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    মানতা সম্প্রদায়ের বিয়ে পদ্ধতি | মানতাদের একেকটি বহরে ৪০-৮০টি নৌকা থাকে। একযোগে এরা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যায়। প্রতিটি বহরের সদস্যরা একে অপরের আত্মীয়। এদের বিয়ে হয় আত্মীয়দের মধ্যেই। এক নৌকা থেকে অন্য নৌকার কারও সঙ্গে। মানতা সম্প্রদায় লোকেরা ইসলামী রীতিতে কাজী ডেকে এনে বিয়ে পড়ায়। আর্থিকভাবে একটু স্বচ্ছল পরিবারের সদস্যরা সাউন্ড বক্স, মাইক বাজিয়ে নাচ-গান করে বিয়ে উৎসব পালন করেন। এ ক্ষেত্রে নৌকা বহরের সকল সদস্য দাওয়াত পান।বিয়ের দিন সবার মাছ শিকার বন্ধ থাকে। মানতাদের বিয়েতে যৌতুক প্রথা নেই তবে মেয়ে জামাইকে কেউ কেউ খুশি হয়ে পূর্নবাসনের ব্যবস্থা করেন।কিছুদিন ধরে প্রচলিত নিয়ম পাল্টানোর চেষ্টা করছে মানতাদের অনেকেই। তবে মানতাদের বহরের নৌকায় ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দিতে চান না। অন্য বহরে বিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা তাদের ুএমনটাই প্রকাশ করেন তারা।

    মানতা সম্প্রদায়ের স্বাস্থ্য চিত্র | এরা বেড়ে ওঠে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশেই।নৌকাতে জীবন কাটানোর ফলে এরা স্বাভাবিক পরিবেশ পায়না। ছোট ছোট শিশুরা ভোগে নানা অপুষ্টিজনিত বিভিন্ন রোগে।বয়স্কদের রোগ বালাই নেই বললেই চলে।নৌকাতেই গর্ভবতী নারীরা সন্তান প্রসব করেন।জটিল সমস্যা হলে হাসপাতালে যেতে হয়। অনেক প্রসূতি নারীই আবার হাসপাতালে যেতে চাননা। ফলে সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মায়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে হরহামেশাই।

    মানতা সম্প্রদায়ের অনিশ্চিত জীবন | মানতাদের জীবন চরম অনিরাপদ। নদীতে অহরাত্রি তাদের দস্যুর ভয়ে কাটাতে হয়। যখন উপকূলের কাছাকাছি থাকেন তখন আবার চোর-ডাকাতদের ভয়। ঝড়-জলোচ্ছাসের সময় এরা পায়না কোনো সতর্কতা সংকেত। তাই দুর্যোগের মধ্যেও তাদের থাকতে হয় নদীতে।

    মানতা সম্প্রদায়ের পড়াশোনা | নতুন প্রজন্মের কারও কারও সামান্য অক্ষরজ্ঞান থাকলেও বাকিরা সবাই অক্ষরজ্ঞানহীন বলাচলে মানতা সম্প্রদায়ের প্রায় সবাই অশিক্ষিত।মূলত নদীতে ভাসমান জীবন কাটানোর ফলে মানতাদের পড়াশোনা করা হয়ে ওঠেনা। এছাড়া নিত্য অভাব আর টানাপোড়েনও তাদের শিক্ষার অন্তরায়।আধুনিক সভ্যতা থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন এসব মানুষ যুগ যুগ ধরে বাস করছেন নৌকাতে। বাপ-দাদার পেশা নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে চলছে এদের দিন।অনেকটা নির্বাসন দণ্ডের মতো জীবন কাটছে এদের।এক সময় এ জীবনে প্রাচুর্য্য ও সুখ থাকলেও এখন আর সেই সুদিন নেই।ডাঙায় নিজেদের জমি-জমা না থাকায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারছেন না তারা।তবুও অধীর প্রতীক্ষা নিয়ে তারা চেয়ে আছেন সরকারি পদক্ষেপের আশায়।তাদের চাওয়া সরকারিভাবে পুনর্বাসনের মাধ্যমে তাদের এই নৌকার জীবন থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হোক। তৈরি করে দেওয়া হোক মাথা গোঁজার ঠাই। এতটুকুই মানতাদের প্রানের দাবী।

    পটুয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, মানতা সম্প্রদায় চাইলে তাদের স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিতে সব নাগরিক সুবিধা দেয়ার কথা। অন্যদিকে শিশুদের শিক্ষার ব্যাপারেও আন্তরিকতা আছে বলে জানালেন পটুয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ