প্রতিনিধি ১১ জুন ২০২২ , ৯:৩৭:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ
আহমাদুল্লাহ হাবিবী-স্টাফ রিপোর্টারঃ
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)ও তার স্ত্রী মা আয়েশা (রাঃ)কে নিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির মুখপাত্র নুপুর শর্মা ও বিজেপির দিল্লি শাখার গণমাধ্যম প্রধান নবীন কুমার জিন্দালের কটুক্তির প্রতিবাদে গতকাল:১০/০৬/২২ইং, শুক্রবার কুষ্টিয়ায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল জুমার নামাজে খতীবগণ উক্ত বিষয়ে আলোচনা করেন, নামাজ শেষে মসজিদের খতিবদের নেতৃত্বে মুসল্লিদের নিয়ে বিভিন্ন স্থান হতে প্রতিবাদী বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়, বিক্ষোভ মিছিল শেষে ভারতের বিজেপি সরকারের কঠোর সমালোচনা, নিন্দা ও ভারতের পন্য বয়কটের ডাক দেয় বক্তারা।
আসরের নামাজের পরে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুষ্টিয়া জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি পালন করা হয়,উক্ত মিছিলটি শহরের বড় বাজার হয়ে বক- চত্বরে এসে সমাবেশের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। সংগঠনের কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ আলীর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলার সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ আখন্দ, জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা নাজমুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মোমিন, প্রচার সম্পাদক গোলাম তাওহীদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুফতী আহমাদুল্লাহ হাবিবী,সহ-প্রশিক্ষন সম্পাদক মুফতী জাফর আহমাদ,ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি তাওহিদুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি মিজানুর রহমান,
ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সভাপতি আবুবকর সিদ্দিক, মাওলানা ইউনুছ আলী, মাওলানা নুর মোহাম্মদ বিন হানিফ, মাওলানা রেজাউল করীম, মুফতী মুখতারুজ্জামান,হাফেজ আরিফুজ্জামান, হাফেজ তরিকুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, মুফতি মুজ্জাম্মিল কাসেমী, মুফতি মাহফুজুর রহমান, আবু সাঈদ সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। উক্ত বিক্ষোভ মিছিলে তাওহীদি জনতার উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো,যা ছিলো কুষ্টিয়া জেলার ইতিহাসে সর্বাধিক উপস্থিতি,যেটা রাসূল (সাঃ)এর ভালোবাসার বহিরপ্রকাশ মাত্র। এমনটা মনে করেন মিডিয়াকর্মী সচেতন নাগরিকবৃন্দ ও সমাবেশের বক্তারা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির নেতাদের একের পর এক ইসলাম ও মানবতার মুক্তির দূত মহানবী (সাঃ)ও তাঁর স্ত্রী আয়েশা (রাঃ)নিয়ে কটুক্তি করে সারা বিশ্বের মুসলমানদের চরমভাবে ক্ষুব্ধ করেছে, বাংলাদেশ সরকার যদি মুসলমানদের সেন্টিমেন্ট না বুঝে মুসলমানদের পক্ষ হতে ভারতকে কঠোরভাবে নিন্দা না করে তাহলে এর খেসারত আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে গুনতে হবে।
উক্ত সমাবেশ হতে বক্তারা দাবি করেন:
১-নবীর শানে যারা বেয়াদবি করেছে তাদেরকে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দিতে হবে।
২-যদি বিজেপি সরকার শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে সমস্ত পৃথিবীর মুসলিম উম্মাহকে ভারতীয় পণ্য বয়কট করার আহ্বান জানানো হয়।
৩-অনতিবিলম্বে ভারতের বিরুদ্ধে মহান জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাস করতে হবে।
৪-ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে তাদের ব্যাখ্যামূলক বক্তব্য জানতে হবে।
৫-সরকার যদি সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাশ ও ভারতীয় রাষ্ট্রদূত কে তলব করতে ব্যর্থ হয় তাহলে আগামী-১৬ জুন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ডাকা ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে সকলকে অংশগ্রহণের অনুরোধ করা হয়।
সমাবেশ শেষে প্রোগ্রাম সফল করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে দোয়া-মোনাজাতের মাধ্যমে সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।