প্রতিনিধি ২০ মে ২০২১ , ৪:৫৫:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ
মতলব উত্তরে শশুর বাড়ীতে গলায় ফাঁস দিয়ে জামাতার আত্মহত্যা । আত্মহননকারি লালমিয়া হাওলাদার (৫২) বরিশালের মোঃ হাওলাদারের ছেলে।ঘটনাটি ঘটেছে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের কামালদি মাথাভাঙ্গা মৃতু সিটু বেপারীর বাড়ীতে ৷বৃহস্পতিবার ২০মে আনুমানিক মধ্য রাতের দিকে সে তার শশুর বাড়ীর ঘরের পাশে ঢেউয়া গাছের সাথে গলায় গামছা ও ওরনা বেঁধে আত্মহত্যা করেন বলে পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে ৷
প্রতিবেশী ও পারিবারিক করো কাছ থেকে ‘দাম্পত্য কলহই আত্মহত্যার কারণ’ না অন্য কিছু এ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি ৷লালমিয়া হাওলাদারের শাশুরী লিলু বেগম জানান,বরিশালের মো. হাওলাদারের ছেলে মো.লালমিয়া হাওলাদারের সাথে ১৭ বছর পুর্বে আমার মেয়ে সালেহা বেগমকে কোটের মাধ্যমে ঢাকায় বিয়ে করেন ৷২/৩ বছর ঘর সংসার করার পর লালমিয়া হাওলাদার নিরুদ্দেশ হয়ে যায় সালেহা বেগম অনেক খুজাখোজি করে স্বামীর খোজ না পেয়ে সালেহা বেগম জর্ডানে চাকুরির উদ্যােশ্যে পারি জমান ৷
১৪ বছর পর সালেহা বেগমের মেয়ে লামিয়া আক্তারের সাথে তার পিতা লালমিয়া হাওলাদারের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ হলে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে লালমিয়া তার শশুর বাড়ী মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের কামালদি মাথাভাঙ্গা আসেন কয়েক দিন থাকার পর ঢাকায় ব্যবসায়ীক কাজে চলে যান পুনরায় ২য় রমজানে শশুর বাড়ী এসে৷ ১৪ রমজানে আবরও ঢাকায় চলে যান এবং ১৬ রমজানে আবারও শশুর বাড়ীতে আসেন এবং ঈদের পরের দিন শনিবার বিকেলে মো. লালমিয়া হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে হাসপাতালের কর্ত্যরত ডাক্তার তাকে ঢাকা সেরেবাংলা নগর হাসপাতালে প্রেরন করেন সেরেবাংলা নগর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১দিন পরেই তাকে রিলিজ দিয়েদিলে পুনরায় লালমিয়া হাওলাদার তার শশুর বাড়ীতে চলে আসেন ৷
এবং ১৯ মে রাতে খাবার খেয়ে শুয়ি পরেন ৷ ঐদিন ভোর সাড়ে ৫টায় ২০ মে প্রতিবেশি বাবুল মিয়ার স্ত্রী জোজনা বেগম আম কুড়াতে গিয়ে ঢেউয়া গাছের সাথে লালমিয়ার লাশ জুলতে দেখে তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে পুলিশকে খবর দিলে মতলব উত্তর থানা পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে সুরোতহাল রিপোর্ট তৈরী করে বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠান৷
আত্মহননকারী লালমিয়া হাওলাদারের মেয়ে লামিয়া আক্তার জানান,আমার জন্মের দীর্ঘ ১৪ বছর পর আমি আমার বাবাকে দেখলাম তিনি কেনো এমনটি করেছে তা জানিনা আমার বাবা ঢাকায় ফলের ব্যবসা করতো এবং আমার বাবা আরো ২টি বিয়ে করেছে বলেও আমি জানতে পেরেছি ৷লামিয়ার মা সালেহা বেগম বর্তমানে জর্দানে কর্মরত আছেন বলেও লামিয়া আক্তার জানান ৷
এদিকে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা করা হয়নি ৷
ছবির- ক্যপশন-
মতলব উত্তরে শ্বশুর বাড়ীতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহননকারী মো. লালমিয়া হাওলাদার, পাসে তার মেয়ে লামিয়া আক্তার তার বাবার ফাঁসি দেওয়া ঢেউয়া গাছটি দেখাচ্ছেন ৷