• আইন ও আদালত

    ভুয়া জন্মসনদে বিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে যৌতুকের দাবী

      প্রতিনিধি ২ নভেম্বর ২০২১ , ২:৪৩:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:

    পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নে ভুয়া জন্মসনদ তৈরি করে কোর্ট এফিডেভিড করে নাটকীয় বিয়ে করে যৌতুক মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে কালিচান্না গ্রামের নবম শ্রেনিতে পড়ুয়া ছাত্রী মোসাঃ স্বপ্না আক্তার (১৫), ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।সরেজমিন অনুসন্ধানে জানাগেছে, স্বপ্না আক্তার (১৫), পিতাঃ কালাম হাওলাদার এর মেয়ের সঙ্গে একই গ্রামের বাবুল ফকিরের ছেলে শাকিব ফকির (১৫) এর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো।

    গোপনে ছেলেকে ফুসলিয়ে নিয়ে মেয়ে স্বপ্না আক্তার (১৫), ও তার সঙ্গীয় ৪-৫ জন মিলে মোকাম বিজ্ঞ নোটারী পাবলিক কার্যালয় পটুয়াখালীর মাধ্যমে ভুয়া জন্মসনদ দেখিয়ে গত (২২-ফেব্রুয়ারি-২০২১ ইং) তারিখ বিবাহের এফিডেভিড করে এঘটনায় স্বপ্নার বড় বোন শিরিন আক্তার ও জড়িত রয়েছে।এফিডেভিডের বিষয়টি দীর্ঘদিন গোপন থাকার পরে গত (১০/০৯/২১ ইং) তারিখ শাকিব ফকির জানতে পারে পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১’ম আমলী আদালতে ৫’ই-ফেব্রুয়ারী-২১ ইং তারিখ, স্বপ্না আক্তার বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করে, যাহার মামলা নং- সি,আর-৯২৪/২১ ইং।মামলায় উল্লেখ করা হয় গত (২১/১০/২১ ইং) তারিখ শরীয়ত মোতাবেক স্থানীয় মাওলানার মাধ্যমে কালেমা পড়ে বিয়ে হয় স্বপ্না ও শাকিবের। বিয়ের পরে উভয়ে একত্রে সংসার করে আসছিলো পরবর্তীতে শাকিবের বাবা, ভাই ও চাচা ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। সেজন্য স্বপ্না আক্তার তার পরিবারের সহযোগিতায় শাকিব তার বাবা,ভাই ও চাচার বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা দায়ের করে।

    এবিষয়ে শাকিবের পরিবার পরিজন সহ একাধিক এলাকাবাসীর কাছে জানাগেছে, এই বিয়ের বিষয়টি কেহই জানতো না দীর্ঘদিন গোপন ছিলো। জানাজানির পরে দুই পরিবারের মধ্যে কেহই কারো বাড়িতে যাওয়া আসা হয়নি এবং কোন মাওলানার মাধ্যমে বিয়েও হয়নি এটা সাজানো ঘটনা। এনিয়ে এলাকায় কয়েকবার মিমাংসার কথা আলোচনা হয়েছে। যেখানে সংসার হয়নি কোন পরিবারে আসা যাওয়া হয়নি সেখানে কিভাবে যৌতুক মামলা দায়ের করা হলো এটাই রহস্য জনক।এই মামলায় সম্পুর্ন মিথ্যে ও বানোয়াট ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান।

    এছাড়া শাকিবের মা আরও বলেন, স্বপ্না আক্তার ও তার বোন শিরিন আক্তার শাকিবকে ফুসলিয়ে নিয়ে কোর্টে বিয়ের এভিডেভিড করে গোপন রাখে। কিন্তুু আমরা কেহই জানতাম না হঠাৎ মামলার কারনে সব জানতে পারি, এছাড়া তাদের সঙ্গে বিয়ের বিষয়ে আমরা কখনোই কোন আলোচনা করিনি।স্বপ্না কোনদিন আমাদের বাড়িতে এসে থাকে নাই কোন বিয়ে ও হয় নাই এটা সম্পুর্ন মিথ্যে মামলা।তাদের চরিত্র মোটেই ভালো না এখন টাকা পাওয়ার জন্য তার মিথ্যা যৌতুক মামলা করেছে এধরনের ঘটনা তাদের পরিবারে আরও রয়েছে বলে জানান।

    এবিষয়ে শাকিব ফকির জানায় আমাকে দিয়ে জোরপূর্বক এফিডেভিটে সাক্ষর করানো হয়েছে। মেয়ের বয়স হয়নি তাই আমি বিয়েতে রাজি ছিলাম না। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে এবং মিথ্যে মামলা করে টাকা আদায়ের পায়তারা করতেছে এবং মহুরী মাসুদ ভুয়া জন্মসনদ তৈরি করে কোর্ট এফিডেভিটের কার্যক্রম সম্পুর্ন করে বলে জানায়।

    স্বপ্না আক্তার ও তার বড় বোন শিরিন এবং পিতাঃ কালাম হাওলাদার যৌতুকের বিষয়টি মিথ্যে বলে স্বীকার করে বলেন, শাকিব ফকির ও তার পরিবারের লোকজন বিয়ে অস্বীকার করায় তাদের বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা দায়ের করেছি। এবং বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে মিট করতে চাই বলে জানান।এছাড়াও কোন মাওলানা কর্তৃক বিবাহ হয়েছে এবং ভুয়া জন্মসনদের বিষয় কোন রকম ডকুমেন্টস দেখাতে পারেনি।

    কোর্ড এফিডেভিটে স্বপ্না আক্তারের ১৮ বছর সম্পুর্ন হলেও ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের কচাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে জানাগেছে স্বপ্না আক্তার তার বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনির ছাত্রী।উল্লেখ কোর্ট এফিডেভিট জন্মসনদে -১৪/০১/২০০৩ ইং এবং বিদ্যালয়ের জন্মসনদে ১৫/১২/২০০৬ ইং তারিখ উল্লেখ রয়েছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ