• আন্তর্জাতিক

    ভারতের রেল বাংলাদেশে চলতে দেওয়া হবে না

      প্রতিনিধি ২৮ জুন ২০২৪ , ১১:০৫:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    আঃ কাদের কারিমী-বরিশাল জেলা প্রতিনিধি:

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেছেন, বর্তমান ডামি সরকার দেশবিরোধী ১০টি সমঝোতা চুক্তি করেছে। যাতে বাংলাদেশের ন্যুনতম কোন স্বার্থ নেই। সব স্বার্থ ভারতের। দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে শেখ হাসিনা দেশকে ভারতের করদরাজ্যে পরিণত করার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। অবিলম্বে ভারতের সাথে দেশবিরোধী সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে। বুকের তাজা রক্ত দিয়ে হলেও বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতের রেল চলতে দেওয়া হবে না।

    বঙ্গবন্ধুর কন্যা বলে দেশের মানুষকে ধোকা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। আর দেশটাকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। মালদ্বীপের সরকার প্রধান নির্বাচনে বিজয়ের পর দেশ থেকে ভারতীয় সেনা বিতাড়িত করেছেন। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারতকে তোয়াজ করে ক্ষমতায় টিকে আছেন। তিনি ৫ জুলাই সারাদেশে জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোণা দেন। আজ শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে ভারতের সাথে সকল চুক্তি বাতিল এবং চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    নগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল কাসেম, মাওলানা মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, ডা. মো. শহিদুল ইসলাম, হাসমত আলী, নূরুজ্জামান সরকার, মাওলানা কেএম শরীয়াতুল্লাহ, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, মুফতী হাফিজুল হক ফাইয়াজ, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, ছাত্রনেতা আব্দুর রহমান।

    প্রিন্সিপাল মাদানী আরও বলেন, ভারত থেকে ট্রানজিটে আসা ট্রেনে মাদক, বোমা, অস্র নেই এটা কীভাবে বুঝবো। বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে উন্নত না করে ভারতের সাথে চিকিৎসা চুক্তি করাও চরম ব্যর্থতা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারতের মানুষ তাকে ভালবাসেন। ভাল তো বাসবেই, কারণ আপনি তো বাংলাদেশের নেতা নন, ভারতের তল্পিবাহক।মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, বিনা ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রধানকে যদিও প্রধানমন্ত্রী বলা যায় না, তবে বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে আমরা প্রধানমন্ত্রী বলছি। আপনি ভারতের সাথে চুক্তি করেছেন, ক্ষমতায় থাকার জন্য, দেশ বিক্রির জন্য নয়।

    এখন আর দুদক ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রয়োজন নেই। ছাগল-গরু দিয়েই দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করা যায়। আমাদের ব্যাংকের টাকা কোথায় গেল? পুলিশ প্রশাসন সাংবাদিকদের হুমকি দিচ্ছে, তাদের দুর্নীতির সংবাদ প্রচার না করার জন্য। আপনারা দুর্নীতি-দুঃশাসন বন্ধ করুন, সাংবাদিকরা আপনাদের বিরুদ্ধে লেখা বন্ধ করবে। সভাপতির বক্তব্যে প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, ভারত সফরশেষে প্রধানমন্ত্রী যে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন, এটাকে সাংবাদিক সম্মেলন বলা যায় না। এটাকে তেলবাজির সম্মেলন বলতে হয়।

    অর্থমন্ত্রী সংসদে দাড়িয়ে যে তথ্য আমাদেরকে দিয়েছেন, তাতে প্রমাণ হয়, বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি টাকা ভারতে পাচার হয়েছে। তিনি বলেন, ৫০.৬ বিলিয়ন ডলার বৈধভাবে ভারতে পাচার হয়েছে। অথচ চায়না বাংলাদেশে অসংখ্য প্রজেক্ট পরিচালনা করলেও চীনে বৈধভাবে গিয়েছে ১৪ বিলিয়ন ডলার। ভারত আমাদের কীভাবে উপকার করে এটাই তার প্রমাণ। দ্রব্যমূল্যের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, আলু কিনতে হয় ৭০ টাকায় কাচামরিচ ২৫০ টাকায়, ডিম হালি কিনতে হয় ৬০ টাকায়। এই হলো স্মার্ট উন্নয়নের নমূনা? এ সরকার মানুষকে বাচা নয়, মারার জন্য সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। পরে একটি বিশাল মিছিল বায়তুল মোকাররম, পল্টন মোড়, বিজয়নগর হয়ে পুনরায় পল্টন মোড়ে এসে মুনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ