প্রতিনিধি ৪ নভেম্বর ২০২১ , ৩:৩৮:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ
‘নিউজ ডেস্কঃ
কোভ্যাক্সিন’ নামে করোনার এই টিকা তৈরি করেছে ভারত রয়টার্স ভারতের করোনার টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’ জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক সম্পূর্ণ দেশি ফর্মুলায় এই টিকা তৈরি করছে।টিকাটির তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলার মধ্যেই গত জানুয়ারিতে ভারতে এটি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়। এরই মধ্যে সাড়ে ১২ কোটি ভারতীয়কে কোভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে।
তবে টিকার তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই এই টিকার ব্যবহার নিয়ে অনেকে উদ্বেগ জানিয়েছিলেন। টিকাটি প্রস্তুতকারী ভারত বায়োটেকের দাবি, তাদের টিকার কার্যকারিতা ৭৮ শতাংশ।আজ বুধবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভ্যাক্সিনের অনুমোদন দেওয়ার কথা জানিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক টুইটে বলেছে, তাদের বিশ্বাস এই টিকার ঝুঁকি যতটা তার চেয়ে সুবিধা অনেক বেশি।
বিশেষজ্ঞদের কারও কারও মতে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে করোনার এই টিকাটির অনুমোদন দিয়েছে। তবে ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান ডা. কৃষ্ণা ইলা বলেছেন, ‘টিকাটি ২০০ শতাংশ নিরাপদ’।
অনুমোদনের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ প্যানেল বলেছে,
# ১৮ বছর থেকে বেশি বয়সীদের চার সপ্তাহের ব্যবধান দিয়ে এই টিকার দুটি ডোজ দিতে হবে।
# সহজে সংরক্ষণ করা যায় বলে এই টিকা নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর জন্য বেশি উপযোগী।
# গর্ভবতী নারীদের ওপর এই টিকার প্রভাব সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেতে গত জুলাই মাসেই ভারত বায়োটেক প্রয়োজনীয় নথি জমা দিয়েছে বলে ভারতীয় সংসদে জানানো হয়েছিল। কিন্তু কিছু পরীক্ষার ফল না পাওয়ায় সেই ছাড়পত্র আসছিল না। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রে বুধবার জানা যায়, সেই ছাড়পত্র পাওয়া গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর আগে ভারতে প্রস্তুত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত করোনার টিকা ‘কোভিশিল্ডের’ অনুমোদন দিয়েছিল। কিন্তু সংস্থাটির অনুমোদন না পাওয়ায় বহু দেশ ‘কোভ্যাক্সিন’গ্রহীতাদের প্রবেশ করতে দিতে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল। এখন সেই অনুমোদন পাওয়ায় এই টিকাগ্রহীতাদের বিদেশযাত্রায় যে অনিশ্চয়তা ছিল, তা কেটে যাবে।
চলতি সপ্তাহেই অস্ট্রেলিয়া সরকার ‘কোভ্যাক্সিন’গ্রহীতাদের সে দেশে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। তখনো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র আসেনি। এখন তা এসে যাওয়ার ফলে বহু ভারতীয় ছাত্রছাত্রী ও কর্মীর বিদেশে যাওয়া নিশ্চিত হবে।