• আইন ও আদালত

    বেলকুচিতে দাফনের ৪ মাস পর কবর থেকে গৃহবধূর মরদেহ উত্তোলন

      প্রতিনিধি ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ৪:২৬:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ লুৎফর রহমান লিটন-সলঙ্গা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

    বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের তামাই পশ্চিম পাড়া গ্রামের শামসুল হকের মেয়ে মরিয়ম খাতুনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আদালতের নির্দেশে বেলকুচি উপজেলার নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট আনিসুর রহমান, মামলার পিবিআই এর তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর গোলাম কিবরিয়া ও ডাক্তার তারেক আজিজের উপস্থিতেতে স্থানীয় কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এ সময় মরদেহ উত্তোলনের খবর পেয়ে স্থানীয় উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে ভিড় জমান।এ বিষয়ে মামলা বাদী সেলিনা বেগম জানান, আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

    আমি বেলকুচি থানায় আমার মেয়ে মরিয়ম হত্যার মামলা দাখিল করি গত ১৮ অক্টোবর। এ বিষয় একমাস পরে জানতে পারি হত্যা মামলা না নিয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে যাহার মামলা নং ২৬। যার কারণে আমি ন্যায় বিচার পেতে বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে মরদেহ উত্তোলনসহ ঘটনার ফের তদন্তের নির্দেশ দেন। তিনি পূর্নরায় সুষ্ঠু তদন্তে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।এ বিষয়ে বেলকুচি উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসিনুর রহমান জানান, আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। মরদেহ উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হয়।

    উল্লেখ্য, মরিয়ম খাতুন তামাই পশ্চিম পাড়া আব্দুর রহমানের স্ত্রী। পরিবার অভিযোগ মরিয়ম নাবালিকা হওয়ার কারণে ফুঁসলিয়ে ২০২১ সালের ১৯ মে সিরাজগঞ্জ নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ের গোপনে এফিটডেভিট এর মাধ্যমে বিবাহ করে আব্দুর রহমান। বিয়ের প্রায় পাঁচ মাস ঘর সংসার করার পর পারবারিক কলহ দেখা দেয়। পরে ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর রাতে মরিয়মকে যৌন নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। প্রথমদিকে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। আদালতে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের ভার পান পিবিআই। আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ