জুনায়েদ কামাল-স্টাফ রিপোর্টার:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ০৭ ডাকাতসহ ০৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি এলজি, ১টি পাইপগান, ২টি কিরিচ, ৩টি ছোরা, ১টি গ্রিল কাটার, ০১টি শাবল এবং ডাকাতির সময় লুটকৃত ০৪ ভরি ১১ আনা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাত্রে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ ডাকাত দলনেতা কামাল এবং কামালের সহযোগীদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহসহ তাদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা শুরু করে। উক্ত কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, ডাকাত কামালের দল পুনরায় আরেকটি ডাকাতি সংঘটনের জন্য বেগমগঞ্জ এলাকায় আসবে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে বেগমগঞ্জ এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করার একপর্যায়ে সংবাদ পাওয়া যায় বেগমগঞ্জ উপজেলা ৯নং মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের লালপুর গ্রামে ডাকাতি করার জন্য একত্রিত হবে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে লালপুর এলাকাসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের কয়েকটি টিম অবস্থান নেয় এবং গ্রামবাসীকে উক্ত বিষয়ে সতর্ক করে। পরবর্তীতে রাত আনুমানিক ০১.৩০ ঘটিকার সময় সন্দেহভাজন লোকদের আনাগোনা টের পেয়ে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল গ্রামবাসীদের সহায়তায় তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে। এসময় তারা পালিয়ে যেতে উদ্যত হলে পুলিশ স্থানীয় গ্রামবাসীদের সহায়তায় ০৭ জন ডাকাতকে আটক করে।
পরবর্তীতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ডাকাতির কিছু স্বর্ণ তারা লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর থানার জনৈক রিপন স্বর্ণকারের নিকট বিক্রয় করেছে। পরবর্তীতে ডাকাত কামালের দেখানো ও সনাক্ত মতে ডাকাতির মালামাল কেনাবেচার সাথে জড়িত রিপন স্বর্ণকারকে গ্রেফতার করে ডাকাতির সময় লুটকৃত ০৪ ভরি ১১ আনা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
ডাকাত রায়হান চৌমুহনী এলাকায় অটোরিক্সা চালায়। অটোরিক্সা চালানোর পাশাপাশি সে বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘর রেকি করে সেগুলোর বিশদ তথ্য সংগ্রহ করে দলনেতা কামালের নিকট দেয়। রায়হানের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে টার্গেটকৃত বাড়িতে ডাকাত কামালের দল ডাকাতি করে এবং উক্ত ডাকাতিতে রায়হানও সরাসরি অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও গত মার্চ/২৪ মাসে উক্ত ডাকাতদল লক্ষ্মীপুরে একাধিক ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনা সংঘটিত করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে ডাকাতরা জানায়। আটককৃত আসামীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, দস্যুতা, অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোঃআসাদুজ্জামান বিপিএম,পিপিএম নির্দেশনায় শুক্রবার সকালে বেগমগঞ্জ থানায় সাংবাদিক সম্মেলন করে। উপস্থিত ছিলেন বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান রাজিব পিপিএম (বার), অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, ওসি তদন্ত ফরিদুল আলম, সেকেন্ড অফিসার এসআই (নিরস্ত্র) কৃষ্ণ কুমার দাস, এসআই (নিরস্ত্র) স্পেসল্যাব চৌধুরী প্রমোজ, এসআই (নিরস্ত্র) ফিরোজ আহাম্মদ।
তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত গণমাধ্যম দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদ
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.