প্রতিনিধি ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ , ৯:৫৬:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ
আরিফুল ইসলাম কারীমী-স্টাফ রিপোর্টারঃ
শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হয়নি বরং আগামী প্রজন্মকে ধ্বংস করার জন্য অস্ত্র তুলে দেয়া হয়েছে। আগামী প্রজন্মকে রক্ষার জন্য এ পাঠ্যক্রম বাংলাদেশে পড়তে দেয়া উচিত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ।
শিক্ষাক্রম’২৩ সংস্কার, বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিল ও পাঠ্যক্রম প্রণয়নে জড়িতদের তদন্তপূর্বক শাস্তির দাবিতে ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ। কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ আরো বলেন, শিক্ষকরা হচ্ছে জাতির বিবেক। কিন্তু শিক্ষাক্রম প্রণয়নে জাতির বিবেকরা যখন চৌর্যবৃত্তির আশ্রয় নেয় তখন তা জাতির জন্য লজ্জার।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বকীয়তা নষ্ট করতে এবং আগামীর প্রজন্মকে নৈতিকতা বিবর্জিত জাতিতে পরিণত করার গভীর ষড়যন্ত্র নিয়ে শিক্ষা সিলেবাসে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। দেশীয় বোধ-বিশ্বাস বিরোধী সেক্যুলার শিক্ষাক্রম দেশের সর্বস্তরের শিক্ষার্থী, অভিভাবক, বুদ্ধিজীবীসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিল ও পাঠ্যক্রম প্রণয়নে জড়িতদের তদন্তপূর্বক শাস্তি দিতে হবে, অন্যথায় দেশব্যাপী সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সেক্রেটারি জেনারেল ইউসুফ আহমাদ মানসুর বলেন, শিক্ষা সিলেবাসকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের নীলনকশা অংকন করা হচ্ছে। পাঠ্যপুস্তকে ইসলামের অন্যতম বিধান পর্দার বিরুদ্ধে নানা কাল্পনিক গল্প সাজিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ডারউইনের মতবাদের মাধ্যমে আমাদের পুর্বপুরুষদেরকে বানর হিসেবে সাব্যস্ত করার চক্রান্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, বিতর্কিত শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের চেষ্টা করলে সচেতন শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে আসতে বাধ্য হবে।
বিক্ষোভ মিছিল থেকে বিতর্কিত শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ কর্মসূচি ঘোষণা করেন-
➜ ১. আগামী ২৬ জানুয়ারি’২৩ বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী থানা পর্যায়ে মানববন্ধন এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর স্মারকলিপি পেশ।
➜ ২. আগামী ২৯ জানুয়ারি’২৩ রবিবার সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে দেশব্যাপী মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট চিঠি প্রেরণ।
বিক্ষোভ মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নূরুল বশর আজিজী, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইবরাহীম হুসাইন মৃধা, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুনতাছির আহমাদ, দাওয়াহ সম্পাদক মুহাম্মাদ মিশকাতুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মুহাম্মাদ আল আমিন, প্রকাশনা সম্পাদক ইমরান হোসাইন নূর, কওমি মাদরাসা সম্পাদক হোসাইন আহমাদ, কার্যনিবাহী সদস্য মুহাম্মাদ রায়হান চৌধুরী, জাবের হুসাইন, খায়রুল আহসান মারজানসহ ঢাকা মহানগর ও ঢাকাস্থ ক্যাম্পাস নেতৃবৃন্দ।