• আইন ও আদালত

    বালু ব্যবসায়ীদের কারণে হুমকীতে বড়ই কান্দি বধ্যভূমি,আবাদি জমি ও ঘরবাড়ি।

      প্রতিনিধি ১৩ মে ২০২২ , ১০:২১:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বড়ই কান্দি গ্রামের বধ্যভূমিটি অল্প কিছু দিন আগে বধ্যভূমি হিসেবে সরকারি স্বীকৃতি লাভ করলেও দায়িত্বশীলরা সঠিকভাবে দেখভাল না করার কারণে বর্তমানে বালুখেকো একটি চক্র এই বধ্যভূমির মূল স্মৃতি চিহ্নগুলোও নষ্ট করে প্রশাসনের নাকের ডগায় লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যবসা করছে। কংসনদী এবং বালুখেকুদের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ প্রতিবাদ করেও কোন লাভ হচ্ছে না। বরং যারাই প্রতিবাদ করছে তাদের বিরুদ্ধে এই বালুখেকো চক্রটি বিভিন্ন ধরনের হুমকী এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখাচ্ছে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে।

    ইতিপূর্বে কংশনদী এবং বালুখেকোদের বিরুদ্ধে সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে মানব বন্ধন করা হলেও এই চক্রটির বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে কোটি কোটি টাকার মজুদকৃত বালু বিক্রির বিরুদ্ধে যারাই প্রতিবাদ করছে, তাদেরকেই পথের কাঁটা হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে হয় ম্যানেজ নয় তো মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকী প্রদান করছে। কংশনদী এবং বালু খেকো হিসেবে একজন জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে স্থানীয় কিছু দালাল চক্র কাজ করছে বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী কয়েকজন বালু খেকো প্রধান হিসাবে ফুলপুর উপজেলার চেয়ারম্যান আতাউল করিম রাসেলের নাম উল্লেখ করেন।

    বালুদস্যূ আর নদীখেকোরা কয়েকটি চক্রে বিভক্ত হয়েও তাদের অবৈধ বালু ব্যবসা চালিয়ে যেতে ঐক্যবদ্ধ কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। উল্লেখ্য যে, বালুদস্যূ সিন্ডিকেটের বাইরে গত প্রায় এক বছরে নদী পাড়ের কোন জমির মালিককে এক চিমটি বালুও নিজের জমিতে তুলতে দেওয়া হয়নি। স্থানীয় সাংবাদিক রিদি মোতালেব জানান, দশ বছর কংস নদের ভাঙন নিয়ে লেখালেখি আর হাজারো ছবি ভিডিও আপলোড দিয়ে আমি নিজেও অদ্যাবধি প্রতিশ্রুতির বাইরে ভাঙনের জমিতে এক চিমটি বালু পাইনি।তারপরও কতো মামলা হামলার হুমকি মাথায় নিয়েই সতত পথ চলছি।মানুষের অধিকার নিশ্চিত করবার জন্য এলাকাবাসীর সাথে আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে প্রতিবাদ করে আসছি।

    হয়তো যেকোনো উপায়ে আমার বিরুদ্ধে বালু খেকো এই চক্রটি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো সহ বড়ো ধরনের ক্ষতি করতে পারে।
    এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায় যে,বধ্যভূমিটি যে জায়গায় অবস্থিত সেখানে স্থানীয় তহসীল অফিসের এক একর সাতচল্লিশ শতাংশ জমিতেই অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা দায়িত্বশীলদের ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে বালুর ব্যবসা করে আসছে। যদিও শত বছরের বেশ কিছু পুরনো বৃক্ষও বালুর ব্যবসাীরা ধ্বংস করে ফেলেছে। বালু ব্যবসায়ীদের কারনে আবাদি জমিগুলোও খালি পরে আছে। চক্রটি আবাদী জমি ভাড়া নেওয়ার জন্য বিভিন্ন কৌশলে চাষাবাদ অনুপযোগী করে রেখেছে।

    বালু ব্যবসায়ীদের কারণে হুমকীতে যেমন বড়ই কান্দি বধ্যভূমি,একইভাবে আবাদি জমি ও ঘরবাড়ি এই হূমকীতে রয়েছে বলে জনৈক মতিলাল রবিদাস এ প্রতিনিধিকে জানান।তার ৬০ শতাংশ জমি উপজেলা চেয়ারম্যান জোর করে দখল করে নিয়েছে বলে তিনি কেঁদে উঠেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষ সঠিক পদক্ষেপ না নিলে আবাদী জমিগুলো চাষাবাদের উপযোগী করা যাবে না, বৃষ্টির মৌসুম তলিয়ে যেতে পারে ঘরবাড়ি, যাতে প্রাণ নাশের আশংকাও রয়েছে। একইভাবে বধ্যভুমির শত বছরের পুরনো অবশিষ্ট গাছপালা এবং স্মৃতি চিহ্নও খোঁজে পাওয়া যাবে না। তাই দ্রুততম সময়ে বধ্যভূমিটি রক্ষার্থে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করতে এলাকাবাসী জোর দাবী জানান। এই বিষয়ে স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যানের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ