প্রতিনিধি ১৭ নভেম্বর ২০২০ , ১:৩৮:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ
(মোঃ আবেদ আহমেদদ)
বাবা মায়ের চোখের সামনেই নিভে যেতে বসেছে সন্তানের জীবন প্রদীপ বাবা মায়ের মনে সব সময় সঙ্কা প্রিয় সন্তানের জীবন প্রদীপ কখন জানি নিভে যায়।
মেয়েকে বাঁচাতে বাবা মো. দেলোয়ার হোসেন কেঁদে কেঁদে বলেন আমা রিয়াকে বাঁচান। নিজের চোখের সামনে মেয়ের এমন অবস্থা সহ্য করার মতো নয়। সাথে সাথে সন্তানের পাশে বসে অঝোরো কাঁদছেন মা রুনা আক্তার। ১০ বছর বয়সি রিয়ার বাড়ি শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখাঁন ইউপির নোয়াগাঁও গ্রামে। সে নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রী। তার বয়স ১০ বছর।
পরিবার সুত্রে জানা যায়, তার ৫ মাস বয়স থেকে হার্টের সমস্যা ধরা পরে। এভাবেই দীর্ঘ ১০ টি বছর ধরে চিকিৎসাধিন রিয়া। দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়ায় অর্থের অভাবে তার স্থায়ী কোন চিকিৎসা করা হয়নি। সম্প্রতি পরীক্ষা নিরীক্ষা পর চিকিৎসক জানান রিয়ার হার্টের মধ্যে ছিদ্র হয়েছে। বর্তমানে সে অসুস্থতায় ভোগছে। ভ্যান চালক পিতার পক্ষে চিকিৎসা খরচ বহন করার কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে তার। অন্যদিকে চিকিৎসক বলেছেন তাকে বাঁচাতে হলে সম্পূর্ণ সুস্থ্য করতে সাড়ে তিন লাখ টাকার প্রয়োজন।
বর্তমানে তার পরিবারের চোখের পানি ফেলা ছাড়া আর কোন পথ নেই। সদা হাসিখুশি থাকা মেয়েটি এখন বিছানায় শুয়ে আছে। পূর্বের মতো খেলাধুলা করতে পারে না। অসুস্থ্যতায় তার বাবা-মা কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। তবে চিকিৎসক জানিয়েছেন, যত তারাতারি সম্ভব অপারেশন করতে পারলে সে সুস্থ্য হয়ে উঠবে।
পরিবারের পক্ষে এতো টাকা যোগার করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। একারণে তার বাবা-মা সমাজের স্বচ্ছল ও বিত্তবান মানুষের কাছে আর্থিক সহযোগীতা চান। রিয়া বর্তমানে ঢাকার হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটালের চিকিৎসক ডা. তৌফিক শাহরিয়ার হক’র চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান তার পরিবারের সদস্যরা।
রিয়ার বাবা জানান, মেয়ের চিকিৎসার সাহায্যার্থে এলাকার মানুষ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনও অর্থ সংগ্রহ করছেন। শহরে মাইকিং করে টাকা তুলছেন ইয়াং সোসাইটি শ্রীমঙ্গল নামে একটি সামাজিক সংগঠন।রিয়াকে বাঁচাতে যদি কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি সহযোগীতা পাঠাতে চান তাহলে রিয়ার বাবার সাথে(মোবাইল: ০১৬৪৬২৯৪৭৮৪)যোগাযোগ করতে পারেন।