প্রতিনিধি ২০ মে ২০২১ , ৪:০৩:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ
রাজশাহীর বাঘায় চলন্ত ট্রাক থামিয়ে আম ব্যাবসায়ীর টাকা ছিনতাই এর ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উপস্থিত জনতার হাতে একজন ছিনতাইকারী আটক হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মে) সন্ধা সাড়ে সাতটার সময় উপজেলার তুলশীপুর উত্তরপাড়া জামে মসজিদের দক্ষিণ পার্শ্বে এ ঘটনা ঘটে।জানা যায়, ট্রাক ড্রাইভার মনিরুল (২৩) তিনি লালপুর উপজেলার গোপালপুর মধুবাড়ি এলাকার মৃত রেজাউল ইসলাম এর ছেলে। হেলপার কোরবান আলী। বাঁকড়া এলাকার মুনসুর আলীর ছেলে আম ব্যাবসায়ী দোস্তুুল ও বিনোদপুর এলাকার একজন আম ব্যাবসায়ী সহ এই চারজন আম বিক্রি শেষে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ঢাকা মেট্র – ড ১১-৯৩২৪ নাম্বারের ট্রাকজোগে রওয়ানা হন। এ সময় দোস্তুুলের কাছে দুই লক্ষ টাকা ছিল বলে তার দাবী।
পথিমধ্যে লালপুর উপজেলার মঞ্জিল পুকুর ( নস্রির বিল) নামক ফাঁকা মাঠের মধ্যে থেকে ২ টি মোটর সাইকেলে চারজন ব্যাক্তি এই ট্রাকের পিছু নেয়। পরে ট্রাকটি তুলশীপুর উত্তর পাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন দক্ষিণ পার্শ্বে ভাঙ্গা রাস্তার সামনে আসলে গতি কমায়। এ সময় মোটর সাইকেল আরোহী ট্রাকটির সামনে গিয়ে গতি রোধ করে। ট্রাকটি থেমে গেলে ড্রাইভার মনিরুল কে হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। ড্রাইভারের সোরগোল ও চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসেন। এ সময় ছিনতাইকারী দের ৩ জন একটি মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান। উপস্থিত জনতার হাতে একটি নীল রঙের
১৬০ সি সি আরটিআর এ্যাপাসি যার নাম্বার রাজশাহী ল-১১-৭৩১৫ গাড়ি সহ আব্দুস সামাদ (মুকুল) (৩৬) নামের একজন ছিনতাইকারী আটক হয়েছে।
সুত্রে জানা যায়, আব্দুর সামাদ (মুকুল) উপজেলার উত্তর মনিগ্রাম (গঙ্গারামপুর) এলাকার আবুল হোসেন সিদ্দিকী’এর ছেলে।আম ব্যাবসায়ী দোস্তুুল বলেন, গাজীপুর চৌরাস্তার আড়তে আম বিক্রি করা দুই লক্ষ টাকা ছিল আমার কাছে, যা মুকুলের সাথে থাকা লোকজন ছিনতাই করেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।আব্দুস সামাদ মুকুল বলেন, ঘটনার দিন আমার ভাতিজা তফিকুল ইসলাম মুঠো ফোনে আমাকে বলে যে এই ট্রাকটি লালপুরে রাস্তায় দূর্ঘটনা ঘটিয়ে পার হয়েছে, তাই এই গাড়ীটির পথ রোধ করি। অতঃপর স্থানীয় লোকজন আমাকে মেরে আটক করে রেখেছে খেড়ুড় মোড়ের একটি আমের আড়তে।
কোন ছিনতাই এর ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনার বিষয়ে জানতে তফিকুলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে কথা বলা সম্ভব হয় নি। ড্রাইভার মনিরুল বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি মিথ্যা। পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ছিনতাই এর উদ্দেশ্যে গাড়ী থামিয়ে আমাকে মারধর করে। আমি এর ন্যায্য বিচার দাবী করছি।মনিগ্রাম ইউনিয়নের তুলশীপুর ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য বলেন, ঘটনার কিছুক্ষন পর ৯৯৯ ফোন দিয়ে জানানোর পর পুলিশ এসে ড্রাইভার মনিরুল ও মুকুল কে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক সেলিম হোসেনের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। পরে তাদের কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানা যায়, বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে ফেরত দেওয়া হয় ড্রাইভার মনিরুল কে। মুকুলের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় কর্তব্যরত ডাঃ রিফায়েত হোসেন রামেক হাসপাতালে প্রেরন করেন। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৪ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।বাঘা থানার এএস আই আব্দুর রহিম বলেন, ৯৯৯ এর ফোন ঘটনা স্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। তবে এখনও কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। ঘটনা স্থল থেকে কোন কিছু জব্দ করা হয় নি।