প্রতিনিধি ২১ অক্টোবর ২০২২ , ৪:২০:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ
আরিফুল ইসলাম কারীমী-স্টাফ রিপোর্টারঃ
আগামীকাল শনিবার খুলনায় বিএনপির গণমহাসমাবেশকে সামনে রেখে বাগেরহাট আন্তঃজেলা বাস মালিক ও শ্রমিক সমিতি শুক্র এবং শনিবার মহাসড়কে নসিমন-করিমন, মহেন্দ্র ও ইজিবাইক চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। শুক্রবার পরিবহন ধর্মঘটের প্রথম দিনে দূরপাল্লাসহ ১৭টি রুটে পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ যাত্রীসহ বাগেরহাটে ইউনিয়ন সমাজকর্মী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী।
বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, দূরপাল্লাসহ ১৭টি রুটে পরিবহন ধর্মঘটের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন জেলা সদরে আসা ইউনিয়ন সমাজকর্মী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা কয়েক হাজার পরীক্ষার্থীসহ সাধারণ যাত্রীরা। ইউনিয়ন সমাজকর্মী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়া সাব্রিনা হেনা নামে এক পরীক্ষার্থীরা জানান, পরীক্ষা শেষে মোড়েলগঞ্জে যেতে ৩ ঘণ্টা ধরে বাস টার্মিনালে দাঁড়িয়ে রয়েছি, কোনো পরিবহন পাচ্ছি না।
দশগুণের অধিক বাড়ায় ইজিবাইকে উঠলেও বাস শ্রমিকরা যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছেন। অনেক যাত্রী ঢাকায় যেতে টার্মিনালের কাউন্টারে এসে দেখছেন দূরপাল্লার পরিবহনও আটকে দেয়া হয়েছে। বাগেরহাট আন্তঃজেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তালুকদার আব্দুল বাকী বলেছেন, হাইকোর্টে নির্দেশনা অমান্য করে মহাসড়কে নসিমন-করিমন, মহেন্দ্র ও ইজিবাইক চলাচল বন্ধ না হওয়ায় বাগেরহাট আন্তঃজেলা বাস মালিক ও শ্রমিক সমিতি শুক্র ও শনিবার মহাসড়কে দূরপাল্লাসহ ১৭টি রুটে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে সরকার মহাসড়কে নসিমন-করিমন, মহেন্দ্র ও ইজিবাইক চলাচল বন্ধ না করলে দুই দিনের এই বর্ধিত করা হবে। শনিবারে খুলনায় বিএনপির গণমহাসমাবেশকে বানচাল করতে এই ধর্মধর্ট ডাকা হয়নি বলে দাবি করেন এই পরিবহন নেতা। বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ড. শেখ ফরিদুই ইসলাম জানান, শনিবারে খুলনায় বিএনপির গণমহাসমাবেশকে বানচাল করতেই সরকার বাস মালিক ও শ্রমিকদের ব্যবহার করে বাগেরহাটে দূরপাল্লাসহ ১৭টি রুটে শুক্রবার ভোর থেকে দুই দিন গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।