প্রতিনিধি ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ৩:২৩:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ
বাগমারা প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর বাগমারাসহ তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় শুক্রবার দিন ব্যাপি তিন দফায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে। মাঘের শেষ স্বস্থির বৃষ্টিতে এলাকার কৃষি ফসলের ব্যাপক উপকার হয়েছে।অসময়ে স্বস্থির বৃষ্টিতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।জানা যায়, এলাকার লোক বেশী ভাগ কৃষির উপর নির্ভরশীল। রবি মওসুমে ফসলে সেচ কাজে এলাকার কৃষকরা গভীরও অগভীর নলকুপ দিয়ে পিঁয়াজ, আলু, মরিজ ভূট্রাসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করে। এবারে ডিজেল তৈলের দাম বৃদ্ধিতে সেচ কাজে বেশ টাকা গুণতে হচ্ছে। বর্তমানে বোরা ধান চাষে কৃষকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।এমন অবস্থায় শুক্রবার ভোর রাতে হঠাৎ বৃষ্টি পড়তে থাকে।
দিনে অন্তত তিন দফা বৃষ্টি নামে। এতে কৃষি কাজের ব্যাপক লাভ হয়েছে বলে কৃষকরা দাবি করেছেন। বালানগর গ্রামের কৃষক মফিজ উদ্দিন জানান, এ সময় সাধারণত বৃষ্টি হয় না। হঠাৎ করে বৃষ্টিতে উড়তি আলু, পেঁয়াজ, গম, কালাই ফসলে আর সেচ প্রয়োজন হবে না। এতে করে যেমন সেচ খরচ বাঁচা গেল তেমনি ফসলে বেশী শক্তি পাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে বাগমারা উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সোহাগ ইসলাম বিটিসি নিউজকে জানান, দীর্ঘ খরায় গম, পেঁয়াজ ও ভূট্রার ক্ষেত তেমন শক্তি হয়নি।
বৃষ্টিতে বহু পরিমান উপকার এসেছে। কারণ এ বৃষ্টিতে প্রচুর পরিমান নাইট্রোজেন সার মিলবে। ফসলের গুণগত মান বাড়তি শক্তি বৃদ্ধিতে এখনকার বৃষ্টি বেশ উপযোগী। এছাড়া ধান, গম, ভূট্রা, সবজি ও মরিজ ক্ষেতের পানির চাহিদাও কমে যাবে। একই ভাবে গ্রামের এক প্রবীন ব্যক্তি এরশাদ বলেন, কথায় (ক্ষণার বচন) আছে, ‘যদি বর্ষে মাগের শেষ, ধন্যি রাজার পুণ্য দেশ। তার কথার অর্থ তিনি বুঝাতে চাইছেন- এবারের এ সময়ের বৃষ্টিতে দেশের ফসলের আবাদ ভালো হবে।