প্রতিনিধি ২৩ মার্চ ২০২৪ , ১১:৫৪:০০ প্রিন্ট সংস্করণ
মু,হেলাল আহম্মেদ-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার ৪নং কেশবপুর ইউনিয়নের ২৯ নং পশ্চিম ভরিপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হযেছে।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ২০২০-২০২১ ইং অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) পিইডিপি-৪ প্রকল্পের অর্থায়নে ওই বিদ্যালয়ে একটি নতুন ভবন নির্মানের উদ্যাগ নেয়। দরপত্র প্রক্রিয়া শেষে মোট ৯৫ লক্ষ ৭১ হাজার টাকার চুক্তিতে সোনালী এটারপ্রাইজ নামের একটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয়। কার্যাদেশ দেওয়ার পর থেকে ৩ বার প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদকাল বাড়ানো হয়েছে।
উক্ত চুক্তি মোতাবেক ৪ তলা ভীত ও ৪টি শ্রেণী কক্ষ নির্মাণের কথা রয়েছে। কয়েকদিন আগে প্রকল্পের বেইজমেন্টে ও শর্ট কলাম নির্মানের সময় শাটারিংয়ে ষ্টিল কাঠামোর পরিবর্তে কাঠের সাপোর্ট ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে কাজের ফিনিশিংয়ে ব্যাপক ত্রুটি দেখা গেছে। এছাড়া নির্মাণকাজে নিন্মমানের বালু ও পাথর ব্যবহার করায় প্রকল্পের স্থায়ীত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নির্মাণের সময় সঠিক নিয়ম কিউরিং করা হয়নি। ঢালাইয়ের সময় এলজিইডির কোন কর্মকর্তাকে সাইটে দেখা যায়নি। ফলে শ্রমিকরা যেনতেনভাবে কাজ করছেন। এর আগে ২০০৩ সালে ওই বিদ্যালয়ে একটি ভবন নির্মাণেও ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে।
নির্মাণের মাত্র কয়েক মাসের মাথায় ভবনটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল তৈরি হয়েছে। পঞ্চম শ্রেনীর একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, পুরানা ভবনটির বয়স ২ যুগ পার হয়নি। এরই মধ্যে শ্রেণী কক্ষগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাছাড়া নতুন ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনো তদারকি না থাকায় শ্রমিকরা নিজদের খেয়াল খুশি অনুযায়ী কাজ করছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, পুরানা ভবনটি নির্মাণে অনিয়ম হওয়ায় বীম ফেটে গেছে। মেঝে দেবে গেছে। নতুন ভবনটি নির্মাণের ক্ষেত্রে এভাবে অনিয়ম হলেতো কয়েক বছর পর এটাও ব্যবহার করা যাবে না।
খলিলুর রহমান নামের এক অভিভাবক বলেন, সিডিউল অনুযায়ী কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সোহাগ বলেন, সিডিউল মেনেই প্রকল্পটির কাজ চলছে। প্রকল্পটির তদারকির দায়িত্বে থাকা বাউফল এলজিইডির উপ সহকারি প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, সঠিক নিয়মে প্রকল্পটির কাজ চলছে, কোনো অনিয়ম হয়েছে বলে আমার কাছে কেউ অভিযোগ দেয়নি। এ প্রসঙ্গে উপজেলা বাউফল এলজিইডির প্রকৌশলী মানিক হোসেন দৈনিক আনন্দ বাজারকে বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি মাত্র। স্কুল ভবন নির্মাণ কাজে কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই। অভিযোগ পেলে সত্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।