• আইন ও আদালত

    বাউফলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যুবকে কুপিয়ে জখম

      প্রতিনিধি ১৩ মে ২০২২ , ১২:৫৩:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

    পটুয়াখালীর বাউফলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে এক যুবকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। উপজেলার ধুলিয়া ইউনিয়নের চাঁদকাঠি গ্রামে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।আহত যুবকের নাম মো. জামাল খান(২৭)। তার পিতার নাম মো. ইসরাইল খান। গুরতর আহত যুবককে উদ্ধার করে বরিশার শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহত যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তার আত্মীয় স্বজনেরা।

    আহত যুবকের ভাইপো টিটু খান জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে মো. জালাল সিকদারের ছেলে মহিবুল সিকদার (২৫) বিশেষ আলাপের কথা বলে বাসা থেকে তাকে (আহত জামাল খান) ডেকে নিয়ে যান। স্থানীয় রাবাইর বাজার এলাকায় নিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরতর জখম করা হয়। পরে সিকদার বাড়ির সামনে ধানের খড়কুটার মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়। পরে ডাক চিৎকার শুনে আহত জামালকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্র পরে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

    টিটু আরও জানান, আহত জামাল বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। একসময় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নাইম সিকদার তারেকের অনুসারী ছিলেন। তারেক সিকদার গত ধুলিয়া ইউপি নির্বাচনে বিএনপি পন্থি চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নেয়। জামাল বিএনপির পন্থি প্রার্থীর পক্ষেই কাজ করেন। নিয়ে নাইম তারেকের সাথে আহত জামালের সম্পর্কের অবনতি হয়। সেই ঘটনার জেরে ঘটনার দিন (বৃহস্পতিবার রাত) জামালকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে নাইম তারেক, তার আপন ভাই নাহিদ সিকদার, দ্বীন ইসলাম প্যাদাসহ ১০/১২জন কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরতর জখম করে।

    তবে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব নাইম সিকদার তারেক বলেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, জামালের সাথে আমার কোন বিরোধ নেই। ছিল না। ছাত্রদল নেতা দ্বীন ইসলামকে জামাল মারধর করতে গেলে দ্বীন ইসলামের আত্মীয়-স্বজনেরা তাকে (জামাল) আহত করে। এ ঘটনার সাথে আমি জড়িত না, ডাক চিৎকার শুনে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আমার নাম জড়ানো হচ্ছে।

    এবিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আল- মামুন বলেন, ‘এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ