প্রতিনিধি ২৩ এপ্রিল ২০২২ , ৪:৩২:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ
মো আবুবকর মিল্টন-বাউফল পটুয়াখালী:
পটুয়াখালীর বাউফলে জমি জমার বিরোধকে কেন্দ্র করে বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও মারধর করে নগত টাকা সহ স্বর্নলংকার ছিনিয়ে নিয়ে প্রকাশ্যে অস্ত্র দেখিয়ে প্রান নাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।অভিযোগকারী হলেন, সোহরাব খলিফা (৬৫), পিতা-মৃতঃ রুস্তুম খলিফা। ঘটনাটি গত (১৯-এপ্রিল-২০২২ ইং) তারিখ কাছিপাড়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড কারখানা গ্রামে আনুমানিক বিকেল ৪ টার সময় এ ঘটনা ঘটে।এঘটনায় মা ছেলে দুজনকে বাউফল উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় সেখানে তাদের চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে, বিবাদীরা হলেন, (১). কামরুল ইসলাম খলিফা, পিতা- কামাল উদ্দিন খলিফা (২). কামাল উদ্দিন খলিফা (৪৫), পিতাঃ আলাউদ্দিন খলিফা, (৩). রওশনআরা বেগম (৬৫), স্বামী-আলাউদ্দিন খলিফা, (৪). নিলুফা বেগম (৪০), স্বামী- কামাল খলিফা। এবিষয়ে অভিযোকারীর স্ত্রী যমুনা বেগম বলেন, একই বাড়িতে তার ভাইদের সাথে জমি জমা নিয়া বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। পূর্বের বিরোধ কে কেন্দ্র করে ঘটনার দিন বিবাদীদের সঙ্গে তর্কাতর্কি এ সময় বিবাদীরা যমুনা বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে এর প্রতিবাদ করিলে বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হইয়া।
দেশীয় অস্ত্র বগি দাও, লোহার রড, লাঠি নিয়ে বসতঘরে হামলা চালিয়ে ঘরের দরজা জানালায় পিটিয়ে ভাংচুর করা শুরু করে তাদের বাঁধা দিতে গেলে যমুনা বেগমকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর শুরু করে মাকে বাঁচাতে ছেলে রেজাউল করিম আগাইয়া আসলে তাকেও এলোপাথারী ভাকে পিটাইয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম এসময় বিবাদী কামরুল যমুনা বেগমের নাকে ও কানে থাকা স্বর্নলংকার ছিনিয়ে নেয়। তাদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন সহ সাক্ষীরা আগাইয়া আসিলে বিবাদীরা ধারালো অস্ত্র বগি দাও দেখিয়ে প্রকাশ্যে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে খুন জখমের হুমকি দিয়া ঘটনাস্থল হইতে চলিয়া যায়।পরবর্তীতে দ্বিতীয় বার সন্ধ্যায় রেজাউল খলিফাকে বাজারে প্রকাশ্যে মারধর করে।
এবং রাতে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়িতে ফেরার পথ মধ্যে হামলা চালিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ব্যবসার ২ লক্ষ টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন বিবাদীদের বিরুদ্ধে। এবিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে একাধিক উপস্থিত লোকের বক্তব্য অনুযায়ী হামলার ঘটনায় কামরুল খলিফা জড়িত বলে জানাগেছে। এছাড়া স্থানীয় ব্যাবসায়ী ও বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, কামরুল খলিফা অস্ত্র ও মাদকসহ বিভিন্ন অসামাজিক অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে।সব সময় মানুষের সঙ্গে খারাপ আচরন করে বেড়ায় এর কারন পিতা সাবেক মেম্বার কামাল খলিফার পেশীশক্তি ও নেপথ্যে রয়েছে কামরুল খলিফার ব্যাক্তিগত অস্ত্র।
এলাকায় কারো সঙ্গে সামন্য কিছু হলেই বগি দাও দেখিয়ে হুমকি দেয় ভয়ে কেহই প্রতিবাদ করতে পারে না। স্থানীয় লোকজন আরও বলেন, কামরুল খলিফার বিরুদ্ধে বিগত দিনে বাউফল থানায় অস্ত্র মামলা রয়েছে।সে যেভাবে উত্তেজিত আচরন করে যে কোন মুহূর্তে তার ব্যাক্তিগত অস্ত্রের বলি হয়ে জীবন হারাতে পারে যে কোন নীরহ মানুষ। তাই সকলে আইনের সহযোগিতায় অস্ত্র উদ্ধার করে স্থানীয় নীরহ লোকজনের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এনিয়ে অভিযুক্ত কামাল খলিফা প্রতিবেদককে বলেন, মারধরে সেও আহত হয়েছে। অস্ত্র মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন নির্বাচনের সময় কামরুলের নামে একটি অস্ত্র মামলা হয়েছে সেটা শেষ পর্যায়ে।রেজাউল ও যমুনা বেগমকে মারধর ও হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রেজাউল এর সঙ্গে কামরুলের হাতাহাতি হয়েছে সেখানে একাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন তারা পরস্পরকে সড়িয়ে দেন এসময় তিনি নিজেও সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব এরিয়ে যান।
এব্যাপারে কারখানা লঞ্চ ঘাট বাজার এলাকায় একাধিক ব্যাবসায়ী ও গন্যমান্যদের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে কামরুল খলিফা আসলেই রগচটা মেজাজের কাউকে সম্মান বা তোয়াক্কা করে না, নৈপথ্যে সাবেক মেম্বার পিতার পেশী শক্তি ও ব্যাক্তিগত অস্ত্রই সাধারন মানুষের ভয়।