প্রতিনিধি ১৯ জুলাই ২০২২ , ১:৩৫:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ
পটুয়াখালীর বাউফলে নাজিরপুর তাঁতেরকাঠি ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় নৌকা প্রতীকের সমর্থক নিহত হওয়ার ঘটনায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (চশমা) ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি এস.এম মহিসনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপর দুজন হলো মো. ফারুক (৪০) ও মো. জহির (৩০)। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদেরকে পুলিশ নাজিরপুরের তাঁতেরকাঠি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গুরতর আহত মো. আমির হোসেন মৃধা (৭০) বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনগণ বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৮ জুলাই নৌকা প্রতীকের সমর্থকেরা একটি মটরসাইকেল বহর বের করে। বহরটি ইউনিয়নের তাঁতেরকাঠি এলাকায় গেলে সেখানে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এস.এম মহসিনসহ তাঁর সমর্থকদের সাথে নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
এতে চেয়ারম্যান প্রার্থী মহসিন, নৌকার প্রতীকের সমর্থক আমির হোসেন মৃধা ও তাঁর ছেলে মো. সোহেলসহ কমপক্ষে ১০জন আহত হয়। গুরুতর আহত আমির মৃধাকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ওই ঘটনায় ৯ জুলাই সোহেল মৃধা ও এস.এম মহসিন বাদী হয়ে পাল্টা-পাল্টি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ উভয় পক্ষের ৫ জনকে গ্রেফতার করে। পরে তারা জামিনে মুক্ত হয়।
এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম ফারুক বলেন,‘আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও নাজিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি এস.এম মহসিন ও তার ভাই আহসান হাবিব মিন্টুর নেতৃত্বে নৌকার কর্মীদের উপর হামলা করা হয়। কুপিয়ে ও পিটিয়ে নৌকার সমর্থক আমির মৃধাকে হত্যা করা হয়। আহত করা হয় আমির মৃধার ছেলে মো. সোহেল মৃধাসহ নৌকার ১০ জন কর্মীকে।
তিনি আরও বলেন,
আমির হোসেন মৃধা হত্যার দায় খুনি মহসিন ও তাকে মদতদাতা পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জুয়েল এবং বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদারকে নিতে হবে। তাদের (জুয়েল- মোতালেব) মদদে মহসিন এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়েছেন। বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আল-মামুন বলেন,আমির হোসেন মৃধার মৃত্যুর ঘটনায় এস.এম মহসিনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।