• বরিশাল বিভাগ

    বাউফলে দখল-দূষণে নাব্যতা হারাচ্ছে খাল; বিপাকে ব্যাবসায়ীরা

      প্রতিনিধি ২১ নভেম্বর ২০২২ , ১২:০৫:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    আরিফুল ইসলাম কারীমী-স্টাফ রিপোর্টারঃ

    দখল আর দূষণের কারণে নাব্যতা হারাচ্ছে বাউফল উপজেলার কালাইয়া খাল। খালের দুই তীর দখল করে গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা। এ ছাড়াও দুই তীরে অসংখ্য টয়লেটের সংযোগ দেওয়ায় বিষিয়ে উঠেছে জলজ পরিবেশ। অথচ এ খালকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা দক্ষিণাঞ্চলের প্রসিদ্ধ এ বাণিজ্য কেন্দ্র থেকে প্রতি বছর প্রায় দেড় কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করছে সরকার। সরেজমিন থেকে জানা যায়, যুগ যুগ ধরে দক্ষিণাঞ্চলের ধান, চাল, গরু ও মহিষের মোকাম হিসেবে পরিচিতি বহন করছে কালাইয়া হাট। সোমবার এখানে সাপ্তাহিক হাটের দিন।

    তাই প্রতি সোমবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ব্যাপারিদের মিলনমেলায় পরিণত হয় কালাইয়া হাট। ধান, চাল, গরু ও মহিষের বাজারে প্রতি সপ্তাহে কয়েক কোটি টাকা লেনদেন হয়। প্রায় চার বর্গকিলোমিটার আয়তনবিশিষ্ট কালাইয়া হাট আজ বিভিন্ন কারণে জৌলুস হারাতে বসেছে। এরই মধ্যে জনগুরুত্বপূর্ণ কালাইয়া খাল নাব্যতা হারিয়েছে। কয়েক মাস আগে ড্রেজিং করা হলেও জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করে মালবাহী নৌযান চলাচল করতে হচ্ছে। তার ওপর মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো দীর্ঘদিন থেকে কালাইয়া খাল দখল করে একশ্রেণির লোক বিশেষ পদ্ধতিতে ‘ঝাড়া’ দিয়ে মাছ শিকার করছে।

    সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কালাইয়া হাটকে কেন্দ্র করে খালের দুই তীর দখল করে গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা। এদিকে হাটের সব ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে খালে। দুই তীরে অসংখ্য টয়লেটের সংযোগ দেওয়ায় বিষিয়ে উঠেছে জলজ পরিবেশ। অব্যাহত দখল, দূষণ আর পলি মাটির প্রভাবে নাব্যতা হারিয়ে কালাইয়া খালে নৌযান চলাচল বিঘিœত হচ্ছে। এ রকম নানা অত্যাচারে খালটির করুণ দশা হওয়ায় জৌলুস হারাতে চলেছে ঐতিহ্যবাহী কালাইয়া হাট।

    ঢাকা-কালাইয়া রুটের যাত্রীবাহী লঞ্চ ঈগলের সুপারভাইজার আমির হোসেন বলেন, ‘কয়েকবার ড্রেজিং করার পরও নাব্যতা ফিরে আসেনি এই খালে। ড্রেজিংয়ের পর জোয়ারের সময় পানি মেপে আমাদেরকে সান্ত¡না দেওয়া হয়। কিন্তু ভাটার সময় কোনো বড় নৌযান কিংবা কোনো মালবাহী কার্গো প্রবেশ করতে পারছে না। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।’

    কালাইয়া ধান-চাল আড়তদার সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম শাহিন বলেন, ‘জোয়ারের সময় ট্রলার আকৃতির ছোট নৌযানে ধান চাল পরিবহন করতে হচ্ছে। এতে পরিবহন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।’ এ বিষয়ে কালাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘সম্প্রতি লঞ্চঘাট থেকে তেঁতুলিয়া নদী পর্যন্ত খালটি ড্রেজিং করা হয়েছে। ময়লা ফেলার বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ