প্রতিনিধি ৯ জুলাই ২০২২ , ৭:৩৩:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে আজ শুক্রবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম মহসীনের (৫৩) ওপর হামলা চালানো হয়েছে। ওই সময় তাঁকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে।
আজ প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে তিনি তাঁতেরকাঠি সরোয়ার খানের বাড়িতে দেখা করতে গেলে ওই হামলা চালানো হয়। মহসিন উদ্দিন অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইব্রাহিম ফারুকের ছেলে ইবনে ফারুক সৌমিকের (২৫) নেতৃত্বে বশির, শামিম, আনোয়ার, ইউনুসসহ ৬০- ৭০ জনের দল তাঁর প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি করে এবং তাঁকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
ওই সময় সৌমিক প্রকাশ্যে তাঁকে (মহসীন) উদ্দেশ্য করে বলে নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ালে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। তিনি আরো অভিযোগ করেন, ইউনুস হোসেন (৩৫) তাকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করার চেষ্টা। অভিযোগ অস্বীকার করে ইবনে ফারুক সৌমিক বলেন, আমি ওখানে ছিলাম না। তবে শুনেছি নৌকার মটরসাইকেল শো ডাউনে ইট মারার কারণে সংঘর্ষ হয়েছে।
চশমা মার্কার প্রার্থীকে জিজ্ঞেস করেন সে বিস্তারিত বলতে পারবে।অন্যদিকে, হামলায় আহত চেয়ারম্যান প্রার্থী মহসীনের ভাই ইউপি সদস্য মিন্টুর ছেলেকে বিনা কারণে আটক করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বাউফল থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
ইউপি সদস্য মিন্টু বলেন, আহত চাচাকে হাসপাতালে দেখতে আসলে আমার ছেলে ওসি আল মামুন সাহেব আটক করে নিয়ে যায়।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশকে জানিয়েছি। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এসকল বিষয়ে জানতে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিঁনি ফোন ওঠাননি।