• আইন ও আদালত

    বাউফলের শিশু গৃহকর্মীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করার অভিযোগ প্রাইমারি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।

      প্রতিনিধি ১৬ মার্চ ২০২২ , ৫:৩২:২২ প্রিন্ট সংস্করণ

    আরিফুল ইসলাম কারীমী-স্টাফ রিপোর্টারঃ

    ভোলার লালমোহনে পূর্বচরকচ্চপিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মেরিয়া জাহানের নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন চাঁদনী (১২) নামে এক শিশু গৃহপরিচারিকা। প্রতিদিনের নির্যাতন সইতে না পেরে গত রোববার (১৩ মার্চ) ওই শিক্ষিকার বাসা থেকে পালিয়ে গিয়ে নিজ এলাকার বাউফল হাসপাতালে ভর্তি ওই শিশু গৃহপরিচারিকা।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত দেড় বছর আগে পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের সবুজ হাওলাদার নামের এক অসহায় ব্যক্তির মেয়ে চাঁদনী লালমোহন পৌরসভার ওয়েষ্টার্ণপাড়া এলাকায় বসবাস করা শিক্ষিকা মেরিয়া জাহান- মামুন দস্পতির বাসায় আসেন।

    মেরিয়ার বাবার বাড়ি বাউফল উপজেলায়। সে সুবাধে চাঁদনীকে বাসার কাজ করার জন্য নিয়ে আসেন শিক্ষিকা মেরিয়া জাহান। তবে চাঁদনী মাঝে মধ্যে কাজে ভুল করলে তাকে বেধরক মারধর করে আটকে রাখে গৃহকত্রী শিক্ষিকা ও তার স্বামী মামুন। সাদ্দাম ওরপে মামুন ওয়েষ্টার্ণ পাড়া এলাকার জামাল ডাক্তার বাড়ির নুরুজ্জামান ডাক্তারের ছেলে।

    শিশু গৃহপরিচারিকা চাঁদনী জানান, বাসায় কাজ করতে এনে ভূল হলেই মামুন ও তার স্ত্রী মেরিয়া প্রায় সময় মারধর করতো। শিশুটিকে বাড়িতে কোন যোগাযোগ করতে দেয়নি এই দম্পতি। রোববারও মারধর করলে সুযোগ পেয়ে পালিয়ে নিজ বাড়ি বাউফলে চলে আসি। অসুস্থ শারীর নিয়ে বাড়িতে গেলে পরিবারের লোকজন তাকে বাউফল উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।

    এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষিকার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তাবে শিক্ষিকার স্বামী সাদ্দাম ওরপে মামুনের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেয়েটি আমাদের দুর সম্পর্কের আত্মীয় হয়। বিষয়টি ভূল বুঝাবুঝি হয়েছে। আমরা ওই মেয়ের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে সমাধান করার চেষ্টা করছি।

    এ বিষয়ে লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন বিষয়টি এক সাংবাদিক আমাকে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। অগিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ