প্রতিনিধি ৮ নভেম্বর ২০২০ , ১২:১৩:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ
শরিফা বেগম শিউলী-রংপুর প্রতিনিধিঃ
ফ্রান্সে বিশ্বনবী হযরত মোহম্মদ (সা.) এর অবমাননা করে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের তীব্র নিন্দা ও লালমনিরহাটের পাটগ্রাম বুড়িমারীতে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক লাইব্রেরিয়ান আবু ইউনুছ মো. সহিদুন্নবী জুয়েলকে গুজব ছড়িয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন সমাবেশ করেছে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠন ‘বাংলার চোখ’। সমাবেশ থেকে অবিলম্বে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারসহ সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানানো হয়।
রোববার (৮ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরের সামনে দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলার চোখ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান তানবীর হোসেন আশরাফী।
সমাবেশ থেকে সাবেক গ্রন্থাগারিক সহিদুন্নবী জুয়েলের হত্যার ঘটনায় দ্রুত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানান বক্তারা বলেন, বুড়িমারীতে পিটিয়ে পুড়িয়ে জুয়েলকে হত্যার ঘটনাটি স্পর্শকাতর। এই মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করতে হবে। জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি। একই সঙ্গে নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান ও একটি সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে সরকার প্রধানের প্রতি আহ্বান জানান।
মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন- নিহত জুয়েলের স্ত্রী জেসমিন আক্তার মুক্তা, রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিয়ার রহমান সফি, সাধারণ সম্পাদক বাবু তুষার কান্তি মন্ডল, কারমাইকেল কলেজের সাবেক ভিপি আলাউদ্দিন মিয়া, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মসিউর রহমান, শ্রমিক নেতা সিদ্দিক হোসেন, মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেরিন উল মতুর্জা, মহানগর কমিউনিস্ট পার্টি সাধারণ সম্পাদক রাতুজ্জামান রাতুল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জাসদ এর কেন্দ্রীয় সদস্য শাহাবুল ইসলাম সাগর, রংপুর সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি জসিম আহম্মেদ রিজভী, আহলে সুন্নত জামাতের ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
এসময় ফ্রান্সে বিশ্বনবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের তীব্র নিন্দা জানান বক্তারা। তারা বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই ঘৃণ্য অপরাধের প্রতিবাদ জানানোর আহবান জানানোর পাশাপাশি জুয়েল হত্যার ঘটনাকে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা হিসেবে দাবি করেন।
তারা বলেন, জুয়েলের মতো ধর্মভীরু নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মারার এই ঘটনা কোনভাবেই মেনে নেয় যায় না। মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে প্রাণনাশের ঘটনা মর্মান্তিক। মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধতার আড়ালে গুজব ছড়িয়ে মানুষকে পিটিয়ে পুড়িয়ে হত্যার ইন্ধনদাতাদের সনাক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে জুয়েলের অসহায় পরিবার ও সন্তানদের ভরণপোষণের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।
সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-
মানববন্ধনে বাংলার চোখ এর মোঃ মাহমুদ আক্তার মিতু, আবু জাফর লিটন, মোঃ ওমর ফারুক, মোঃ দুলাল মিয়া, সুজন মিয়া, মোঃ গোলাম রব্বানী রঞ্জু, গোলাম রব্বানী রতন, রায়হান জীবন, সোধ্য, সিরাজুল ইসলাম ইরান, মোঃ মিন্টু মিয়া, আবু বক্কর সিদ্দিক, রংপুর জেলা, মহানগর, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইউনিটের সদস্য, সংগঠক ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সংহতি প্রকাশ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।