• আমার দেশ

    বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে তোমরা হেরে গেলে বাংলাদেশ হেরে যাবে

      প্রতিনিধি ২৭ মার্চ ২০২২ , ৫:১৪:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    আহমাদুল্লাহ হাবিবী-স্টাফ রিপোর্টারঃ

    আজকের শিক্ষার্থীরা আগামীর দেশ গড়ার কারিগর। শিক্ষার্থীদের স্বচ্ছ চরিত্র, দক্ষতা ও নৈতিকতাই পারে দেশকে সুখী ও সমৃদ্ধ করতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসাবে দেশের স্বার্থ ও মানবতার মুক্তির পথ তোমাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। বাংলাদেশ গড়ার এই লড়াইয়ে তোমরা হেরে গেলে বাংলাদেশ হেরে যাবে; তোমরা জিতে গেলে বাংলাদেশ জিতে যাবে।

    আজ ২৭ মার্চ ২২ রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি জামাল উদ্দিন মুহাম্মাদ খালিদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আহসান মারজানের সঞ্চালনায় আয়োজিত “নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মুহতারাম সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম উপর্যুক্ত কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ নামের এই স্বাধীন ভূখণ্ড পেতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণের সাহসী পদক্ষেপ ছিল অগ্রগামী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৫২, ৬৬ ও ৭১ জন্ম দিয়েছে। দেশ ও মানবতার স্বার্থে বরাংবার জীবন বাজি রেখেছে। আজ স্বাধীনতার প্রকৃত উদ্দেশ্য রাষ্ট্রে উপেক্ষিত। তাই স্বাধীনতার ঘোষনা পত্রে উল্লেখিত “সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার” প্রতিষ্ঠার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ছাত্র নেতা নূরুল করীম আকরাম বলেন, সামাজিক, সংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতায় ইসলাম ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন সত্ত্বা। বাংলাদেশের আত্মপরিচয়ের শিকড়ে ইসলাম মিশে আছে। তাই একজন মানুষ হিসাবে আমরা দ্বৈত পরিচয় বহন করি। একদিকে আমি একজন মুসলমান, অপরদিকে আমি একজন বাংলাদেশী। দুই পরিচয়ের নৈতিক দায়বদ্ধতা থেকে আমাদের যেমনিভাবে দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে তেমনিভাবে ইসলামের জন্য এগিয়ে আসতে হবে।

    তিনি আরো বলেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ দেশকে ধারণ করে রাজনীতি করে। মৌলিক জায়গা ঠিক রেখে সবচেয়ে মুক্ত চিন্তা করে। একজন ছাত্রকে নৈতিকতা ও মেধাসম্পন্ন সম্পদে রূপান্তরিত করতে বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করে।তিনি পরিশেষে সবাইকে ছাত্র আন্দোলন-এর পতাকাতলে শামিল হয়ে আগামীতে ক্ষুধা মুক্ত, দারিদ্র মুক্ত ও কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ