• আন্তর্জাতিক

    বাংলাদেশ ও ভারত সম্পর্ক আওয়ামী লীগ সরকারই হিস্যা আদায় করেছে, অন্যরা কিছুই পারেনি

      প্রতিনিধি ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ১:১৯:০০ প্রিন্ট সংস্করণ

    পানি বণ্টন: আওয়ামী লীগ সরকারের অর্জন ও বিএনপি-জামায়াতের ভূমিকা

    বঙ্গবন্ধু হত্যার দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারো আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সরকার গঠন করে। সরকারে আসার পর সেই বছরই ভারতের সাথে ফারাক্কার গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি করতে সমর্থ হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই চুক্তির ফলে ভারতের গঙ্গায় পানিপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ এবং বাংলাদেশ অংশের নিম্ন অববাহিকায় বাংলাদেশের পানির ভাগ পাওয়ার অধিকার– দুইই প্রতিষ্ঠিত হয়। এই চুক্তির ফলে কুষ্টিয়া ও গড়াই-মধুমতী নদীর উপর বাঁধ ও সেচপ্রকল্প পারমিট পায়। এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ এবং বঙ্গোপসাগরের লবণাক্ত পানির প্রকোপ থেকে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্যকে রক্ষা করা।

    এর আগে, বিএনপি-জাাময়াত সরকার কি করেছিল আপনাদের জন্য, সেটাও জেনে রাখুন। ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যার কথা পর্যন্ত বলতে ভুলে গিয়েছিলেন। তিনি বৈঠকে পানির প্রসঙ্গ পর্যন্ত তোলেননি। দেশে ফেরার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি নিজেই মুখ ফসকে এই কথা বলে ফেলেছেন। সেই সময়ের পত্রিকাগুলো একবার চোখ বুলিয়ে দেখুন। এছাড়াও ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার সময় তিস্তা নদীর গজলডোবায় যখন ব্যারেজ নির্মাণ করে ভারত, তখনও জাতীয় বা আন্তর্জাতিকভাবে কোনো প্রতিবাদ জানায়নি বিএনপি।

    অন্যদিকে স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত স্বৈরাচার জিয়া-এরশাদের সরকার, পরবর্তীতে ১৯৯১ ও ২০০১ সালে দুইবার বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এলেও তারা এসব বিষয়ে ভারতের সাথে কোনো আলোচনাই করেনি। পরবর্তীতে সেই খেসারত দিতে হয়েছে উত্তরাঞ্চলের সাধারণ কৃষকদের।

    কিন্তু ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর, তিস্তার পানি সরবরাহে ন্যায্য হিস্যা আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ে চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশের সাথে এ বিষয়ে সহমত পোষণ করে চুক্তি করতেও জন্য সম্মত হয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় রাজ্যভিত্তিক রাজনীতির কারণে এটি আটকে আছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের সাথে সমঝোতা হলে, এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান পাবে বাংলাদেশ।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ