প্রতিনিধি ১৯ মার্চ ২০২৪ , ১১:০৪:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে দোকান ভাড়া চাইতে গিয়ে নজরুল ইসলাম নামে এক সংবাদকর্মীর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে, এতে নজরুল ইসলাম ৩ নারীসহ অন্তত ৪ জন আহত হয়েছে। পরে এই সংক্রান্তে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী। গত ৮ ফেব্রুয়ারী (বৃহস্পতিবার) দুপুর আনুমানিক ১২ টার দিকে উপজেলার শেখেরখীল ইউপির মৌলভি বাজার এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার বাঁশখালী সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে ১৬৫/২০২৪ ইং মামলা দায়ের করেছে।
আসামীরা হলোঃ শেখেরখীল ইউপির ৮ নং ওয়ার্ডের রাজাকার ছৈয়দুল আলমের পুত্র আতাউর রহমান (৩৫), শফিউল আলমের পুত্র চোরের সর্দার শাহ জাহান(৩০), মৃত আলী আহমদের পুত্র সুদখোর মানিক (৪০)। আহতদের মধ্যে অন্যান্যরা হলেন, মৃত রোশন আলীর মেয়ে ছকিনা বেগম, সোহেল রানার স্ত্রী হাছিনা বেগম ও নজরুল ইসলামের স্ত্রী ছেনুয়ারা বেগম। আহত নজরুল ইসলামের অবস্থা গুরুতর হওয়াতে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা যায়, এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসাপত্রসহ মামলার আর্জির সাথে সংযুক্ত দেখা গেছে।
মামলার অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, শেখেরখীল ৮ নং ওয়ার্ডের মৃত রোশন আলীর ছেলে সাংবাদিক নজরুল ইসলাম একই এলাকার রাজাকার সৈয়দুল আলমের পুত্র আতাউর রহমান (৩৫) কে দোকান গৃহ ভাড়া দিয়েছিল, উক্ত দোকানের বকেয়া ভাড়া চাওয়াতে দোকান ভাড়াটিয়া আতাউর রহমানসহ অপরাপর আসামীরা যোগসাজশে লোহাররড হাতুড়ি ও ছুরি নিয়ে মৌলভীবাজারস্থ এক সেলুনের দোকানে অতর্কিত অবস্থায় সাংবাদিক নজরুল ইসলামের উপর হামলা চালায়। এসময় আহত সাংবাদিক নজরুল সিকদার আর্তচিৎকারে তাকে উদ্ধারের জন্যে ছকিনা, হাছিনা ও ছেনুয়ারা বেগম আগাইয়া আসিলে আসামীরা তাদের উপরও হামলা করে গুরুতর আহত করেছে মর্মে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও ঘটনার সময় আসামীরা আহত নজরুল ইসলামসহ অপরাপর আহতদের কাছ থেকে ৩টি মোবাইল ও নগদ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে মর্মেও অভিযোগ সুত্রে জানা যায়।
এব্যাপারে বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফায়েল আহমেদ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এই সংক্রান্তে কোর্টে মামলা হয়েছে কিনা সেটা আমি এখনো অবগত নই, আর যদি মামলা হয়ে থাকে তাহলে বিজ্ঞ আদালত হয়তো সংশ্লিষ্ট থানা অফিসার ইনচার্জকে দুই ধরনের নির্দেশনা দিতে পারেন, এক নিয়মিত মামলা রুজু করার, আরেকটি হচ্ছে তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদানের। কোন ধরনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা আমি জানিনা, বিষয়টি জানতে তদন্ত অফিসার অথবা সেকেন্ড অফিসারের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন ওসি তোফায়েল। বিষয়টি জানতে তদন্ত ওসি ও সেকেন্ড অফিসারকে একাধিক বার ফোন দেয়া হলেও ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।