মাহাফুজুর রহমান-নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে নড়াইল সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহার বালা শ্বাসকষ্টসহ নানা ধরনের বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান নড়াইলে স্থায়ীভাবে থাকার এবং শিল্পচর্চা করার জন্য নিহারবালার অবদান ছিল অন্যতম। ১৯৭০ সালে এস এম সুলতানের জীবনে আবির্ভাব ঘটে পালিত কন্যা নিহার বালার। স্বামীর আকস্মিক মৃত্যুর পর বিধবা নিহার বালার ঠাঁই হয় সুলতানের ঘরে। শিল্পী সুলতান শহরের কুড়িগ্রামের একটি দ্বিতল জরাজীর্ণ বাড়িতে (বর্তমান শিশুস্বর্গ ভবন) থাকতেন। অসুস্থ, বেকার সুলতানকে তিনি আঁকড়ে ধরেছিলেন নিজের দুই শিশু কন্যাসহ। সুলতানও তাকে দিয়েছিলেন মেয়ের মর্যাদা।
সুলতানের জীবদ্দশায় পালিত কন্যা নিহার বালা তার কাজের প্রেরণার উৎস হিসেবে থেকে তার বোহেমিয়ান জীবনের ইতি টানতে পেরেছিলেন। তার খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে রং তৈরি করার কাজ করে দিতেন নিহার বালা। সুলতানের মৃত্যুর পরে সুলতান কমপ্লেক্সের পাশের একটি টিনসেডে নানা আক্ষেপ নিয়ে বেঁচে ছিলেন নিহার বালা। শিল্পীর মৃত্যুর পর নিহার বালার আর্থিক সংকট শুরু হয়। অশীতিপর নীহার বালা অর্থাভাবে ছানি অপারেশন করতে না পারায় ৯ বছর দৃষ্টিহীন ছিলেন। নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন, ছোটবেলায় দেখেছি দাদু এস এম সুলতানকে।
আমাদের গর্ব বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের বিখ্যাত হওয়ার পেছনে নিহার বালার অবদান ছিল অনস্বীকার্য। শিল্পী সুলতানের শেষ সময়ে তিনি মেয়ে নয় বরং মায়ের মতো খেয়াল রেখেছেন। শিল্পীর সবচেয়ে কাছের মানুষকে আমরা আজ হারালাম। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানাই।
নিহার বালার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন নড়াইলের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল আলম লিটু, নাজমুল হাসান লিজা প্রমুখ।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত গণমাধ্যম দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদ
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.