প্রতিনিধি ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৪:০৮:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ
আঃ কাদের কারিমী-বরিশাল জেলা প্রতিনিধি:
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযানে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের দুদক। ৭ সেপ্টেম্বর বুধবার দুদকের আভিযান পরিচালনাকারী দলের এক কর্মকর্তার বিচার চেয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন বরিশাল শাখা। উক্ত ঘটনায় বিশ্লেষকরা বলছেন, চিকিৎসকরা মূল ঘটনা অন্য দিকে ঘুরানোর জন্য আন্দোলন করছেন।
দূদক থেকে জানানো হয়েছে, ভুক্তভোগীর অভিযোগ ছিল বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা.মোঃ আনোয়ার হোসেন বাবলু সরকারি দায়িত্ব সঠিক মত পালন করেন না। তিনি সরকারি দায়িত্ব পালনের সময়ও সরকারি দায়িত্ব ফাকি দিয়ে ব্যক্তিগত চেম্বারে ব্যস্ত থাকেন। ৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৯ টার সময় তালাশ করলে কলেজের মেডিসিন ও নিউরোলজি বিভাগের তার কক্ষ, ক্লাস রুম কিংবা হাসপাতালের ওয়ার্ডে কোথাও পাওয়া যায়নি।
সম্পূর্ণরূপে তার কক্ষটি তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মনিরুজ্জামান শাহীনও ছিলেন সম্পুর্ন অনুপস্থিত। দুদকের কর্তব্যরত টিম তাকে মোবাইলে কল করে অফিসে আসার জন্য বলা হয়। এ সময় অধ্যক্ষ মোঃ মনিরুজ্জামান শাহীন এবং অন্যান্য ডাক্তারদের হাজিরা সংক্রান্ত তথ্য দিতে সম্পুর্ন অস্বীকৃতি জানান। অন্যদিকে ডা. মোঃ আনোয়ার হোসেন বাবলুকে সকাল ১০ টার সময় ও পায়নি দুদকের টিম।উক্ত কোনো গটনার জবাব বা তথ্যও দিতে পারেননি কলেজের অধ্যক্ষ।
আর সরকার নির্ধারিত অফিস টাইমের কমপক্ষে দেড় ঘণ্টা পর দুদক টিমের সামনে ১৫ জন চিকিৎসক হাজিরা দেন। দুদক টিমের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে- হাসপাতালের মেডিসিন, আর্থোপেডিক্স বিভাগে দু-একজন ইন্টার্ন ডাক্তার ব্যতীত দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র কোনো ডাক্তার উপস্থিতি ছিলেন না। করেন না তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব।