প্রতিনিধি ২৪ মার্চ ২০২২ , ১১:৪৩:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ
জামাল কাড়াল-বরিশাল জেলা প্রতিনিধি:
ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা রাখার স্ট্যান্ড নির্ধারণ, অযথা শ্রমিক হয়রানি-মামলা-নির্যাতন বন্ধ করা ও নীতিমালা চূড়ান্ত করে দ্রুত ব্যাটারিচালিত যানবাহনের লাইসেন্সের দাবিতে বরিশালে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়েছে।ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদের উদ্যেগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়, যা দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে। এতে করে বরিশাল নগরীজুড়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তির শিকার হন গন্তব্যে ছোটা মানুষ।
ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ বরিশাল জেলা সমন্বয়ক মানিক হাওলাদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি খালেকুজ্জামান লিপন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বজলুল রশিদ ফিরোজ, বরিশাল জেলা শাখার আহ্বায়ক প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমন, সদস্য সচিব মনীষা চক্রবর্তীসহ আরও অনেকে।ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ বরিশাল জেলা সমন্বয়ক মানিক হাওলাদার বলেন, ‘যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া নেই ৫ টাকা, আর আমাদের মামলা দেয়া হয় ৫ হাজার টাকার।
প্রতিবাদ করলে মামলার পরিমান অহেতুক বাড়িয়ে দেয় পুলিশ। আমরা এর থেকে নিস্তার চাই।‘রাস্তায় যাত্রী নামানোর জন্য রিকশা বা ইজিবাইক দাঁড় করালেই পুলিশ হাজির হয়। আমাদের হয়রানি করে। আমাদের নিয়ে এত সমস্যা থাকলে কেন রাস্তায় নামতে দিয়েছে সরকার। নগরীতে রাস্তা ছাড়া কোনো স্থান নেই যেখানে গাড়ি দাঁড় করানো যায়। যদি স্ট্যান্ড থাকতো তাহলে আমাদের গাড়ি রাখতে সুবিধা হতো। আর এতে পুলিশি হয়রানিতেও পড়তে হতো না আমাদের।’কেন্দ্রীয় সভাপতি খালেকুজ্জামান লিপন বলেন, বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে সরকার যদি ইজিবাইক চলাচল বন্ধ করে দেয় তাহলে চালকরা চুপ থাকবে না।
ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক বন্ধ করে দেয়া হলে ১ কোটি মানুষ বেকার হয়ে পড়বে। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিকরা মিছিল বের করে নগরীর প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে।মানুষের ভোগান্তির বিষয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক লোকমান হোসেন বলেন, আন্দোলনকারীদের সড়ক বন্ধ না রেখে পাশে গিয়ে তাদের প্রোগ্রাম করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা তা করেনি। এই কারণে অনেকেই ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। তবে বিকল্প সড়ক দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রেখে যতটা সম্ভব মানুষের ভোগান্তি এড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে।