• Uncategorized

    বরগুনার আমতলীতে মাদক সেবনে বাঁধা দেওয়ায় ৪ সন্তানের জননীকে শ্লীলতাহানী ও মারধর

      প্রতিনিধি ৫ মে ২০২১ , ৯:২০:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    বরগুনার আমতলীতে মাদক সেবনে বাঁধা দেওয়ায়
    ৪ সন্তানের জননীকে শ্লীলতাহানী ও মারধর

    বরগুনার আমতলী উপজেলার ডালাচাড়া গ্রামের একটি বাড়ীতে সন্ত্রসীদের গাঁজা সেবন করতে না দেওয়ায় ৪ সন্তানের জননী লাইলী বেগমকে শ্লীলতাহানী ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বামী পরিত্যক্তা আহত লাইলী বেগমকে আমতলী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
    জানাগেছে, স্থানীয় বখাটে মাদক সেবী মোয়জ্জেম প্যাদা প্রায়ই লাইলী বেগমের বাড়ীতে মাদক সেবনের উদ্দেশ্যে আসতো। গত ৩ তারিখ মোয়াজ্জেম প্যাদা তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে মাদক সেবন করতে আসলে লাইলী বেগম তাদের বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পরের দিন ৪ তারিখ সকাল ১১ টায় রান্নাঘরে কাজ করার সময় পিছন দিক থেকে এসে লাইলীকে ঝাপটে ধরেন মোয়াজ্জেম। লাইলী ডাক চিৎকার দিলে মোয়াজ্জেমের সাথে থাকা জসিম, জাহিদ, ছিদ্দিকসহ আরো ৩জন তাকে শ্লীলতাহানী করে। তিনি দৌড়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলে সকলে মিলে তাকে বেদড়ক মারপিট করে। এতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করলে ডান পায়ের হাটু ভেংগে যায়। তার ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। লাইলী বেগমের বড় ছেলে বাড়ীতে এসে মাকে নিয়ে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করান। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মারজিয়া তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ব্যাপারে আমতলী থানায় লাইলী বেগম বাদী হয়ে মোয়াজ্জেমসহ ৭ জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
    আহত লাইলী বেগম বলেন, মোয়াজ্জেম এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মাদকসেবী, তার ভয়ে এলাকার লোকজন ভীত সন্ত্রস্ত থাকে। ঘটনার আগের দিন আমার বাড়ীতে এসে মাদক সেবন করতে চায় ও আমাকে কু-প্রস্তাব দেয়। এতে রাজী না হওয়ায় আমাকে মারধর ও শ্লীলতাহানী করে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
    থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম হাওলাদার বলেন, লাইলী বেগম বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের দাখিল করেছেন। ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ