প্রতিনিধি ২২ এপ্রিল ২০২১ , ৫:৪৯:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ
বরগুনার আমতলীতে ডায়েরিয়া পরিস্থিতি ভয়াবহ, স্যালাইন সংকট
সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলী উপজেলায় ডায়েরিয়া পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। গত ১ মাসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সহা¯্রাধিক ডায়েরিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিলেও বেসরকারী হিসেবে এর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুনেরও বেশী। কলেরা স্যালাইনের ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্তে¡ও কোন দোকানে স্যালাইন পাওয়া যাচ্ছেনা। স্যালাইন না পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পরেছে রোগী ও তাদের স্বজনরা। ঔষধ কোম্পানীগুলো স্যালাইন সরবরাহ না করায় স্যালাইন সংকটে পরেছে বলে দাবী ঔষধ ব্যবসায়ীদের।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানাগেছে, গত ১ মাসে ১ হাজার ৪৬ জন ডায়েরিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। গড়ে প্রতিদিন ৫০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ৪৯ জন ডায়েরিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেড না থাকায় অনেকে ফ্লোরে মাদুর ও চাদর বিছিয়ে রোগীদের চিকিৎসা করাচ্ছেন।
রোগীর স্বজনদের অভিযোগ হাসপাতাল থেকে রোগীদের চাহিদামত কলেরা স্যালাইন সরবরাহ করা হচ্ছে না। হাসপাতালের সামনের সকল ঔষধের দোকান ঘুরেও স্যালাইন পাওয়া যাচ্ছে না। কোম্পানীগুলো চাহিদামত কলেরা স্যালাইন সরবরাহ না করায় দোকান শুন্য হয়ে পড়েছে স্যালাইন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ও পৌরশহরের বিভিন্নস্থানের ঔষধের দোকানগুলো ঘুরে দেখাগেছে, কোন দোকানেই কলেরা স্যালাইনের সরবরাহ নেই। ঔষধ কোম্পানীর স্থাণীয় প্রতিনিধিরা দাবী করেন প্রয়োজনীয় কাঁচামাল না থাকায় চাহিদামত স্যালাইন উৎপাদন করা যাচ্ছে না। এ কারনে উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাজারে স্যালাইন সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। দ্রত এ সংকট কেঁটে যাবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবদুল মুনায়েম সাদ বলেন, প্রতিদিন গড়ে ৫০জন ডায়েরিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হচ্ছেন। ডায়েরিয়া রোগীর চাপ দেখে চলতি মাসের শুরুতে ৬ হাজার কলেরা স্যালাইন সংগ্রহ করেছি। এখন পর্যন্ত ১ হাজার স্যালাইন আছে। সরকারী স্যালাইনের পাশাপাশি ফার্মেসী থেকে কোম্পানীর স্যালাইন সংগ্রহ করার জন্য রোগীর স্বজনদের বলা হচ্ছে। শুনেছি বাজারেও স্যালাইন শূণ্য হয়ে পড়েছে। আশাকরি দ্রæত এ সংকট দূর হবে।