প্রতিনিধি ২২ আগস্ট ২০২০ , ৪:০০:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ
এনামুল কবীর এনাম-বদলগাছী রিপোর্টার:
নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার মিঠাপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কতৃক নিয়োগ বাণিজ্য জমজমাট , এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা যায় গত ২৮/০২/২০১২ইং তারিখে দৈনিক সাত মাথা ও দৈনিক সংগ্রামে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক সহ কারী গ্ৰন্থাগারীকা পদে মাদ্রাসার দাতা ও প্রতিষ্ঠতা মরহুম আলহাজ্ব ছলিম উদ্দিন আকন্দের পুএ মামুনুরশিদের স্ত্রী আবেদন করেন।
উক্ত আবেদন জাচায় বাছাই অন্তে গত ১০/০৪/২০১২ ইং তারিখে নিয়োগ বোর্ডের তত্কালীন কমিটির সভাপতি মোঃ জালাল উদ্দিন ও মহাপরিচালকের প্রতিনিধি রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর হাবিবুর রহমানের উপস্থিতিতে নিয়োগ প্রদানের কার্যক্রম সমাপ্ত অন্তে , গত ১১/০৪/২০১২ ইং তারিখে উক্ত মিঠাপুর আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মমতাজ কে সহকারী গ্ৰন্থাগারীক পদে নিয়োগ পএ প্রদান করেছেন।
যাহার স্বারক নং-মিঠা২/১৪/২০১২। এবং গত ১২/৪/২০১২ ইং তারিখে মমতাজ বেগম সহকারী গ্ৰন্থাগারীকা পদে যোগদান করিয়া মাদ্রাসার নিয়ম অনুযায়ী চাকুরী করিয়া আসিতেছিল।উক্ত গ্ৰন্থাগারীক পদটি শিক্ষা নিতীমালা মোতাবেক মাদ্রাসার অধ্যক্ষ গত ১৮/৫/২০১২ইং তারিখে এম,পি, ও,ভুক্তের জন্য মহাপরিচালক বরাবরে আবেদন ও প্রেরণ করেছেন।
শিক্ষা অধিদপ্তরের পএ প্রাপ্তির নং ১৬২৪৩/২০১৩ সুএে জানা যায়। মিঠাপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অর্থ লোভী মোজাহেদুল ইসলাম বাবলু আবার ও গত ৮/৭/২০২০ ইং তারিখে দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকায় উক্ত সহকারী গ্ৰন্থাগারীক পদ সহ আরও ৪টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন। সহকারী গ্ৰন্থাকরীক পদে আবার ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোজাহেদুল ইসলাম বাবলু জানান নিয়ম মেনে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি এলাকার স্বচেতন মহল মাদ্রাসা পরিচালনা কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ও সঠিক সিদ্ধান্তের আলামত না পাইলে সহকারী গ্ৰন্থাগারীক পদে কর্মরত মমতাজ গত ৯/৮/২০২০ইং তারিখে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোজাহেদুল ইসলাম বাবলুর বিরুদ্ধে মহাপরিচালক, শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মাসুদ রানা সহ এলাকাবাসী জানায় গত ২৮/০৬/২০ইং তারিখে মাদ্রাসার আয়া, ও দারোয়ান পদে নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন মর্মে ১৪বছর আয়া পদে বেকার কর্ম প্রদান কারীর মেয়ে সুখী আক্তারের চাকুরী হয়নি।
আবার ও নিয়োগ বাণিজ্য জমজমাট এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। উক্ত মমতাজের নিয়োগ ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বিষয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মিঠাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ফিরোজ হোসেনের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি উক্ত বিষয়ে কিছুই জানিনা। তত্কালীন সভাপতি জালাল উদ্দিন জানান সরকারি নিয়ম মেনেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
এবিষয়ে মমতাজ জানান আমার শশুর মাদ্রাসার দাতা ও প্রতিষ্ঠতার একমাত্র ছেলে মামুনুর রশিদের সহধর্মিনী হিসাবে আমি উক্ত পদে নিয়োগ পেয়ে যোগদান করে যথারীতি কর্ম করিয়া থাকি। এবং মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আমার বিল বেতনের জন্য শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবরে আবেদন করেছেন। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান ঐ মাওলানা মোজাহেদুল ইসলাম বাবলু অর্থ লোভী হওয়ায় এই মাদ্রাসায় নিয়োগ বাণিজ্যের প্রতিযোগিতা চলছে। বিষয়টি এলাকায় তোলপাড় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নেক দৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয় স্বচেতন মহল।