প্রতিনিধি ২৭ জুলাই ২০২০ , ৪:৪৭:২০ প্রিন্ট সংস্করণ
এনামুল কবীর এনাম-বদলগাছী উপজেলা প্রতিনিধিঃ
নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার মিঠাপুর আলিম মাদ্রাসায় আয়া বাবুর্চি হিসেবে ১০/১২ বছর যাবত কাজ করে ইন্টার পাশ মেয়ে সুখীর জন্য। সরকারের শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিপএ অনুসারে প্রতিটি মাদ্রাসায় একজন আয়া ও একজন নিরাপত্তা কর্মী জনবহল নিয়োগ দেওয়ার আদেশ মোতাবেক মিঠাপুর আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মোজাহেদুল ইসলাম বাবলু গত ১০/০২/২০ইং তারিখে দৈনিক জনকন্ঠে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করেন। উক্ত বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক ও প্রিন্সিপালের সুপরামর্শে মেয়ে সুখী আক্তার সহ আরও দুই জনের মোট তিন জনের জন্য গোবর চাপা হাট জনতা ব্যাংক ০১০০০৪৯৭২১২৮০ নম্বরে ৫০০টাকা ড্রাপট করে আয়া পদে প্রার্থী হিসেবে আবেদন করেন। উক্ত আবেদন মোতাবেক প্রিন্সিপাল মাওলানা মোজাহেদুল ইসলাম বাবলু ও অফিস সহকারীর সঙ্গে ৬লক্ষ পরে ৮লক্ষ টাকা ডনেশানের সমঝোতা হয়। উক্ত মাদ্রাসার মাদ্রাসার অফিস সহকারীর মধ্যস্থতায় খুরশিদার স্বামী মোস্তফা মেয়ে সুখী আক্তারের ভবিষ্যতের জন্য মাথা লুকিয়ে থাকা ঘরের সামনে দোকান সহ জমি বিক্রয় করে মা ডেকোরেটরের মালিক আবুল খায়ের নিকট। এবং নগদ তিন লাখ টাকা ও গ্ৰহন করে অফিস সহকারী রাইহান আলমের মাধ্যমে।
লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার জন্য গত ২৮/০৬/২০ ইং তারিখে সুখী আক্তার কে তিন নম্বর রোল হিসেবে প্রবেশ পএ প্রদান করেন গত ১০/৭/২০ ইং তারিখে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য। পরিক্ষার আগের দিন রাতে সুখী আক্তারের বাবা মোস্তফার কে ১০ লক্ষটাকা , পরিশেষে ৯লক্ষ টাকার টাকার প্রস্তাব দিলে মোস্তফা শা তাতে অস্বীকৃতি জানান।১০ জুলাই প্রিন্সিপাল মাওলানা মোজাহেদুল ইসলাম বাবলু সকাল সাড়ে ৮ দিকে বাড়ীর সামনে রাস্তায় মোস্তফা উক্ত মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল কে বলেন আমার মেয়ে সুখী কে চাকুরী দিবেন না।
কিন্তু আমার বিক্রয় কৃত জমি ও দোকান ফেরতের দাবি করেন। প্রিন্সিপাল মাওলানা মোজাহেদুল ইসলাম বাবলু বলেন আমি রাইহান আলমের মাধ্যমে সব ধরনের জটিলতা নিরসন করা জমি সহ দোকান বিক্রয়ের টাকা ফেরতের জন্য মা ডেকোরেটরের মালিক আবুল খায়ের কে টাকা ফেরতের সুব্যাবস্থাও করেছেন।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার সাবেক প্রিন্সিপাল মাওলানা মকবুল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান খুরশিদা কে ৩০০ টাকা মাসিক বেতনে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করেছিলাম। তার মেয়ে কে আয়া পদে নিয়োগ দেওয়া উচিত ছিল।স্বানীয় স্বচেতন আওয়ামী লীগের নেতা মাসুদ রানা জানান মোস্তফার সহধর্মিণ দীর্ঘ বছর মাদ্রাসায় কাজ করে দিয়েছে মর্মে তার মেয়ে সুখী কে নিয়োগ দেওয়া উচিত ছিল আয়া পদে। বিষয়টি নিয়ে প্রিন্সিপাল মাওলানা মোজাহেদুল ইসলাম বাবলু জানান সুখী আক্তার পরিক্ষায় উপস্থিত ছিলেন না। এবং কোন টাকা ছাড়াই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আয়া প্রার্থী সুখী আক্তার জানান চুক্তির চেয়ে পরিক্ষার আগের রাতে টাকা বেশি চাওয়ার জন্য আমার মাও বাবা আমাকে যেতে দেননি। মোস্তফা জানান পরিক্ষার দিন আমার বাড়ীর সামনে প্রিন্সিপাল মাওলানা মোজাহেদুল ইসলাম বাবলু কে ধরে আমার ঘরের সামনে জমি ও দোকান বিক্রয় গ্ৰহনকৃত টাকা ফেরত সহ সমাধানের জন্য অফিস সহকারী রাইহান আলমের মাধ্যমে সঠিক ভাবে সমাধান দিয়েছেন। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠতা আলহাজ্ব মরহুম ছলিমদ্দীন পুএ মামুন জানান আমি দাতা সদস্য মামুনুর রশিদ নিয়োগ দেওয়া বিষয়টি প্রিন্সিপাল আমাকে কিছুই বলেনি। স্থানীয় এলাকাবাসী জানায় দীর্ঘ বছর কাজ করে দিয়েছে খুরশিদা বেগম।
এলাকার স্বচেতন নেতারা বলেন টাকা ছাড়াই নিয়োগ হলে কেন টাকা ফেরতের সুব্যাস্থা করেছিল উক্ত মিঠাপুর আলিম মাদ্রাসায় আবার ও লাইব্রেরীয়ান পদে নিয়োগ দেওয়া কেন্দ্র করে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে মর্মে শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোহদয়ের নেক দৃষ্টি সহ সুব্যাবস্থা কামনা করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ রানা ও এলাকাবাসী। সহকারী শিক্ষক অপু সহ কতিপয় বিবেকবান নেতা কর্মী সহ শিক্ষক গন বলেন মেয়ে খুরশিদা তার মেয়ের সুখের জন্য অনেক অনেক প্রচেষ্টা চালিয়ে টাকার কাছে হাড় বানিয়েছে।