প্রতিনিধি ২৪ মে ২০২১ , ৩:১৭:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ
পৌরসভার জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেন নির্মাণ প্রকল্প কাজে বাধা দিচ্ছে কতিপয় ব্যবসায়ীরা ।২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের আওতায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় জামালপুরে উন্নয়নের জন্য ৮ টি পৌরসভার প্রকল্প গ্রহণ করেন।বকশীগঞ্জ সভার মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর বলে, জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ীভাবে ড্রেন নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও কতিপয় ব্যক্তির অসহযোগিতার কারণে ড্রেন নির্মাণে হচ্ছে না ।পৌরসভা সচিব নুরুল আমিন বলে, স্থানীয় ড্রেন নির্মাণের সুযোগ করে না দেওয়ায় বকশীগঞ্জ পৌরসভার ড্রেন নির্মাণের দুটি প্রকল্প হুমকির মুখে রয়েছে। এতে করে পৃথক দুটি প্রকল্পের ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা কাজে লাগানো যাচ্ছে না।
বকশীগঞ্জ পৌর শহেরর পুরাতন বাস স্ট্যান্ড থেকে পান হাটি মোড় রাস্তার পাশে অবস্থিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ড্রেন নির্মাণে আমাদের কোন আপত্তি নাই, তবে রাস্তার সীমানা নির্ধারণ নিয়ে সমস্যার কারণে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান যেন ভাঙ্গা না লাগে সেদিকেও নজর দেওয়া উচিত পৌর কর্তৃপক্ষের।এদিকে বকশীগঞ্জ পৌরসভার পক্ষে গত সপ্তাহে পৌর শহরে রাস্তার দুপাশে ব্যক্তি মালিকানা প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো নিয়ম অনুযায়ী অপসারণের জন্য ৪৮ ঘন্টার সময় বেধে দেন পৌর মেয়র । কিন্তু মেয়রের এই সময়কে গুরুত্বসহ গ্রহণ করে নি স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ।
বকশীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর জানান, বকশীগঞ্জ পৌরবাসীর নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে দুটি প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে কিন্তু কতিপয় ব্যক্তির বাঁধা ও অসহযোগিতার কারণে ড্রেন নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন নিয়ে অসুবিধা দেখা দিয়েছে। ব্যবসায়ীদের বার বার অনুরোধ করা শর্তেও তারা সহযোগিতা করছেন না। তবে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা ও প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সব ধরণের বাঁধা উপেক্ষা করে উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর।