প্রতিনিধি ৩১ অক্টোবর ২০২০ , ৫:২৮:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ
বকশীগঞ্জ(জামালপুর)সংবাদদাতাঃ
বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের সুলতান আহমেদ নামে এক গ্রাম পুলিশের দাপটে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে স্ত্রী সন্তান ও এলাকাবাসী। প্রশাসনের কাছে বার বার অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা। সর্বশেষ অভিযোগ করেছেন গ্রাম পুলিশ সুলতান আহমদের প্রথম স্ত্রী রুবি বেগম ও চার অবুঝ সন্তান।
গ্রাম পুলিশ সুলতানের প্রথম স্ত্রী রুবি বেগম জানান, ১৮ বছর আগে বগারচর ইউনিয়নের গাংছড়া গ্রামের সবজল হকের ছেলে গ্রাম পুলিশ সুলতান আহম্মেদের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য তাকে বিভিন্ন সময়ে শারিরীক নির্যাতন করে। এই নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য শালিস বৈঠক হয়। তার পরেও নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বাড়তেই থাকে।
এক পর্যায়ে ভরনপোষন বন্ধ করে দিয়ে দুই মাস পূর্বে গ্রাম পুলিশ সুলতান তার শ্যালকের বিধবা শাশুড়ীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে সুলতান আহমেদ। গত বৃহস্পতিবার জবাই করার খুন করার উদ্দেশ্যে সুলতান ও তার দ্বিত¦ীয় স্ত্রী আমার উপর হামলা করে। স্থানীয়রা তাদের কবল থেকে আমাকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। আমি জীবনে রক্ষা পাই। তবে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্্েরর কাটা ছেড়া অনেক চিহ্ন রয়েছে। এ অবস্থায় কিচিৎসা শেষে সুলতান আহম্মেদ ও তার দ্বিত্বীয় স্ত্রীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় ও ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ ব্যাপারে গ্রাম পুলিশ সুলতান আহম্মেদ বলেন,আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়। অভিযোগ প্রমানিত হলে দেশের প্রচলিত আইনে আমার বিচার হবে।
বগারচর ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম লিচু জানান, সুলতান আহমদের দাপটে এলাকাবাসী অতিষ্ট। সে খুবই বেপরোয়া। অনেকবার তাকে শর্তক করে দেওয়া হয়েছে। তার নানা অপকর্মের গ্রাম্য শালিস একাধিক হয়েছে। কিন্তু তার পরেও অপকর্ম করেই যাচ্ছে।
বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুন মুন জাহান লিজা জানান, অভিযোগের বিষয়টি অবগত হয়েছি। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম স¤্রাট বলেন,গ্রাম পুলিশ সুলতানের প্রথম স্ত্রী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।