প্রতিনিধি ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ১:২১:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ
আসিফ খন্দকার:
পুরো নাম সারিয়া আবেদীন ইতু। পড়াশোনা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় বর্ষে।বাবার নাম মোঃ জয়নাল আবেদীন, মায়ের নাম সুহেলী আক্তার।সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় মাধবকুণ্ড ঝর্ণার সৌন্দর্য দেখে বড় হয়েছে ইতু।প্রকৃতির এই রুপ তারমধ্যে জাগিয়েছে শিল্পীসত্তা।ক্যানভাসের গন্ডি পেরিয়ে নিজেকে রাঙিয়ে তুলছেন নানা রঙে নানা রুপে।
কিভাবে শুরু হলো আঁকিবুঁকি এরকম প্রশ্নের জবাবে ইতু বলেন,”ফেইস আর্ট নিয়ে কাজ করা শুরু করেছিলাম ২০২০ এর লকডাউনে।
একটা বন্ধুর উৎসাহে জিনিসটা নিয়ে চেষ্টা করা শুরু করি। যেহেতু ছোটবেলা থেকেই আঁকাআঁকির প্রতি ঝোক আছে তাই কাজ করতে ভালোই লেগেছিলো। পুরোটা লকডাউনে দিনের পর দিন চেষ্টা করতে করতে আঁকার হাত এরকম দক্ষ হয়েছে। যদিও এখনও অনেক কিছুই শেখার বাকি বলে মনে করি।
আমার বাবা-মা ভাই-বোন খুবই সাপোর্টিভ, একদম প্রথম থেকেই। এমনকি আমার বাবাই আমাকে প্রথম কালার বক্সটা কিনে দিয়েছিলেন”।ইতুর কাজগুলো সমাদৃত হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। আস্তে আস্তে বিভিন্ন অনলাইন ইভেন্ট, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে শুরু করে সে।
Galaxy of Creativity, Intelligent Minds, Youthbangla Community, Super Maniacs, Amar shomoy Amar desh আরো অনেক সংগঠনের প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় সে।এরপর বাংলাদেশের সবথেকে বড় আন্তর্জাতিক কালচারাল সংগঠন কালচারাল ক্লাসিসিস্টস্ এর 2nd International cultural classicists carnival 2021 প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়।তারপর প্রতিযোগী থেকে বিচারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় ইতু। সে Basket Of Arts সংগঠনের Story Behind You 2.0 ইভেন্টে প্রথম বিচারক হিসেবে জয়েন করে। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত অনেকগুলো প্রতিযোগিতায় সে ফেইস আর্টের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ইতু বলেন,”এক বছরের মধ্যে এতকিছু অর্জন করাকে আমি আল্লাহ তায়ালার রহমত, অনেক মানুষের ভালবাসা, দোয়া আর আমার পরিশ্রমের ফল মনে করি। বেশ কিছুদিন হয়নি নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলেছি, সেখানে ফেইস আর্ট সম্পর্কে মানুষকে জানানোর এবং শেখানোর আশা রাখছি। বর্তমানে এটা নিয়েই ব্যস্ত থাকি।ভবিষ্যতে আমার বাইরে পড়াশোনা করতে যাওয়ার ইচ্ছা আছে তাই আপাতত পেশা সম্পর্কে নির্ধারিত কিছু বলতে পারছি না, তবে এতটুকু বলতে পারি যে ফেইস আর্টকে নিয়ে অনেকদূর আগানোর স্বপ্ন দেখি। আরো শিখতে চাই, আরো জানতে চাই এবং ভবিষ্যতে এরকম সুযোগ করে দিতে চাই যাতে অন্য কেউ আগ্রহ দেখালে এই শিল্পটি শিখতে পারে।
ইতুর জন্য দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদের পক্ষ থেকে রইলো শুভ কামনা।