• রাজশাহী বিভাগ

    প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘড় চান সিংড়ার অসহায়, ভূমিহীন ৫ টি পরিবার।

      প্রতিনিধি ২৯ মার্চ ২০২২ , ৮:৪৫:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোস্তফা প্রামানিক সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধিঃ

    বঙ্গবন্ধুকন্যা অনেক মানুষকে ঘর দিয়েছেন। আমাও একটি ঘর চাই, ঘরটি পেলে আমাদের দুঃখ ঘুচাতো, ছেলে-মেয়েগুলোকে নিয়ে মাথা গোঁজার একটা ঠাঁই হতো।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীতে মুজিববর্ষের একটি ঘর চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এভাবেই আকুতি জানান নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার বিলদহর এলাকার ৫ টি পরিবারের সদস্যরা।তার আরো জানান, জায়গার মালিক জায়গা ছেড়ে যাওয়ার জন্য প্রতিদিন তাগিদ দিচ্ছে। কিন্ত অর্থের অভাবে জায়গা ও ঘর কোনোটাই করতে পারছেন না তারা ।

    সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, অন্যের জায়গায় কেউ ঘর তুলে বসবাস করছেন আবার কোন পরিবারের স্থান হয়েছে অন্যের বাড়ি বা বাড়ির বারান্দায়। সিংড়া উপজেলার বিলদহর গ্রামের অসহায় ও ভূমিহীন পরিবার গুলো হলো ১। বিশ্বনাথ সরকার পিতাঃ বসন্ত শীল, ২| আনন্দ সরকার, পিতা শিবনাথ সরকার, ৩।মোঃ মান্নান মন্ডল পিতা আরশেদ মন্ডল, ৪। বেলা রানী পিতা খোকা শিল, ৫।সোনাতন বাদ্যকর পিতা সত্য বাদ্যকর।।মোঃ মান্নান মন্ডল অন্যের একটি রিকশা ভাড়া নিয়ে ওই রিকশা চালিয়ে প্রতিদিন কোনোরকম জীবিকা নির্বাহ করছে। বেলা রানী তার বৃদ্ধ স্বামী নিয়ে বাঁচতে চান। তাই পরিবারটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রাণের আকুতি জানিয়েছে।

    সোনাতন বাদ্যকরের চিন্তা আমি অন্যের জায়গায় থাকি। তাই আমাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তারা। কোনো ক্রমেই আমার পক্ষে একখণ্ড জমি ক্রয় বা থাকার ঘর তৈরি করা সম্ভব না। সে আক্ষেপ করে জানান লোকজন মারফত জানিতে পেরেছি, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মানবতার মা শেখ হাসিনা জমি ও ঘর উপহার দিচ্ছেন। ইউএনও স্যারের মাধ্যমে বহু মানুষ ইতিমধ্যে জমি ও ঘর পেয়েছে, তারা সেখানে বসবাস করছে, আপন ঠিকানা পেয়েছে। অনেকে জমি ও ঘর পেলেও সেখানে বসবাস করে না পতিত অবস্থায় আছে। আর আমি জমি ও ঘরের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছি।

    আমার কোনো ঠিকানা নাই। আমি স্থানীয় অনেকের কাছে বলেছি কিন্ত কেউ আমার দুঃখ কষ্ট বোঝেনি। একজন অসহায় গৃহহীন ও ভূমিহীন অসহায় মানুষ তাই মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও ইউএনও স্যারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মাথা গোঁজার ঠাঁই চাই। তা না হলে আমি ও আমার পরিবার খোলা আকাশের নীচে থাকা ছাড়া উপায় থাকবে না।
    স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য আশরাফুল ইসলাম বলেন, ৫নং চামারী ইউনিয়ন আমার ৮নং ওয়ার্ড বিলদহর গ্রামে আমি ছোট্ট থেকে দেখে এসেছি এই পরিবার গুলো অসহায় ও ভূমিহীন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করে আসছে।

    চলনবিল মিডিয়া প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সহায়তায় এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চলনবিলের কৃতি সন্তান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপির হস্তক্ষেপে, এই পরিবার গুলো প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘড় পেলে আমি ও অসহায় ভূমিহীন পরিবার গুলো এবং আমার ৮নং ওয়ার্ডবাসী অনেক খুশি হতো।এ ব্যাপারে ভূমিহীন ৫টি পরিবারের সদস্যরা সৎ, বিচক্ষণ ও একজন মানবিক আই সি টি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এম,পির সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ